X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদায় ওবামা

বাধন অধিকারী
২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:২৭আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:০১
image

 

বিদায় ওবামা ২০০৯ সালের এই দিনটিতেই কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। যেখানে কিছু বছর আগে পর্যন্তও কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটাধিকার ছিল না, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে চেনাজানা সেই মার্কিন ইতিহাস বদলে দিয়েছিলেন ওবামা। প্রথম দফার মেয়াদ শেষ করেছেন ২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি। দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছর শেষ হলো আজ (শুক্রবার)। বিদায় নেওয়ার মুহূর্তে বিপুল জনপ্রিয়তা ওবামার সঙ্গী। তবে তিনি রেখে যাচ্ছেন অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন। বিশ্বাস-ঐক্য-সহিষ্ণুতায় যে পরিবর্তন-এর মন্ত্র হাজির করেছিলেন তিনি, তার অনেকটাই হতাশায় পর্যবসিত হয়েছে। পরিণত হয়েছে স্বপ্নভঙ্গে।

ওবামার বিদায় বেলায় তাই হিসেব কষা হচ্ছে, এই আট বছরে দুই দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ভূমিকা কী? আশা আর পরিবর্তনের যে অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি, বাস্তবে তার কতোটুকু পেরেছেন? বিদায় বেলায় সবমিলে আমাদের সামনে কোন আমেরিকা রেখে যাচ্ছেন ওবামা? ইতিহাসের সাড়া জাগানো ওই মার্কিন প্রেসিডেন্টের আট বছরের শাসনকালের ইতিহাস পরিভ্রমণের মধ্য দিয়ে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

৪ নভেম্বর ২০০৮। শিকাগোর ইলিনয়ের গ্রান্ট পার্কে এক কৃষ্ণাঙ্গের কথা শুনতে জড়ো হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ।  প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয় ভাষণে ওবামা বলেছিলেন, ‘পরিবর্তন ইতোমধ্যেই আমেরিকায় চলে এসেছে। আমাদের পথ অনেক দীর্ঘ, আমাদের অতিক্রম করতে হবে অনেক বাধা, আমরা হয়ত এক বছরের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব না, হয়তো এক মেয়াদেও নয়, কিন্তু আমি কখনও আজ রাতের চেয়ে বেশি আশাবাদী হইনি যে আমেরিকা একদিন সে গন্তব্যে পৌঁছাবেই।‘ একইভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মাথায় ২০০৯ সালের ৪ জুন মিসর সফরে গিয়ে ঐতিহাসিক কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেন ওবামা, যা বিশ্বভাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ডাক মনে হয়। ওবামা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি মনে করি এটা আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ইসলাম সম্পর্কে বদ্ধমূল নেতিবাচক ধারণার বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া।’

সেই ভাষণে ইরাকি সেনা প্রত্যাহ্যার, কিউবায় থাকা কুখ্যাত মার্কিন কারাগার গুয়ানতানামো বে বন্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার কথাও বলেছিলেন ওবামা। এর একটি কাজও এখনও পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি। অর্জিত হয়নি মুসলমানদের প্রতি বিশ্বস্ততা। এদিকে মার্কিন সমাজের অভ্যন্তরে একাংশের মগজে-মননে এখনও ভয়াবহভাবে জ্বলছে বর্ণবাদী ঘৃণার আগুন। আর বৈষম্য তো আরও বেড়েছে।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার ১১ মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানে যুদ্ধ তৎপরতা  বাড়ান ওবামা।  এর পরপরই ওবামা ছুটে যান অসলোয় নোবেল শান্তি পুরস্কার নিতে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মার্কিন যুদ্ধযাত্রার যৌক্তিকতা প্রতিপন্ন করতে গিয়ে ওবামা সেখানে বলেন, সমকালীন বিশ্ব আমার সামনে উপস্থিত রয়েছে হুমকি হিসেবে। মার্কিন জনগণের নিরাপত্তা আজ হুমকির সম্মুখীন। অলস বসে চেয়ে চেয়ে দেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’

পরাশক্তির দৌড়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রকাশ্য হুমকি দিতেও ছাড়েন না যুক্তরাষ্ট্রকে। সিরিয়া নিয়ে দুই ক্ষমতাধর দেশের দ্বন্দ্বের মধ্যেই  যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করছে, তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাক গলিয়েছে রাশিয়া। সবশেষ কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাক গলানোর সন্দেহে শাস্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে দেশটি। ওয়াশিংটন ডিসি এবং সান ফ্রান্সিসকো কনসুলেটের এসব কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ নিয়েছে। সেই সঙ্গে মেরিল্যান্ড এবং নিউ ইয়র্কে গোয়েন্দা তথ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত এমন দুটি রুশ কম্পাউন্ডও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া রুশ গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত নয়টি সংস্থা ও ব্যক্তির ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বস্তুত ওবামার দুই শাসনামলে মার্কিন সমাজ পরিবর্তিত হয়নি। বর্ণবাদমুক্তি, বিশ্বস্ততা আর বৈষম্য ঘোচানোর মধ্য দিয়ে আশা আর পরিবর্তনের স্বপ্নকে এগিয়ে নেওয়া যায়নি। বরং বৈষম্য জোরালো হয়েছে। হয়েছে বলেই ওবামা, ইরাক-আফগানিস্তান পেরিয়ে লিবিয়া-সিরিয়া-পাকিস্তান পর্যন্ত আগ্রাসন চালিয়েছেন নিজেদের যুদ্ধবাজির ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে। দেশ দুটি থেকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি কমাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আরব বসন্তের কবলে পড়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অচলাবস্থা, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ, তীব্র শরণার্থী সংকট ও ইসলামিক স্টেটের উত্থান ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ওবামার যুদ্ধবাজি দেখা গেছে পুরো সময় জুড়ে। নারী ও শিশুসহ বহু বেসামরিক মানুষের রক্তের অদৃশ্য ছোঁপ লেগে গেছে তার হাতে। বিশেষজ্ঞরাও স্পষ্ট করে দেখিয়েছেন, ইরাক যুদ্ধের জাতিগত দ্বন্দ্ব থেকেই আইএস-ধারার সংগঠনের আবির্ভাব।

নব্য উদারবাদী মুক্তবাজারের খোঁজে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ‘পিভট টু এশিয়া নীতি’ ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা। সেই নীতির আওতায় মিয়ানমার স্ট্রাটেজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হওয়ায় সেখানে সংঘটিত রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়েও প্রায় নিশ্চুপ যুক্তরাষ্ট্র। ৮ অক্টোবরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম খবর দেয়, মিয়ানমারে ১৯৮৯ সালে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর একদিন বাদে আরাকান রাজ্যে শুরু হয় হামলাকারীদের খোঁজে কথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশন। আর সেই অপারেশনের নামে চলমান জাতিসংঘ ঘোষিত এথনিক ক্লিনজিং (জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়া) আর মানবতাবিরোধী অপরাধকর্মের মধ্যেই আরেক ধাপে বাণিজ্য-নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।  ২ ডিসেম্বরের নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মিয়ানমারে নির্বিচারে রোহিঙ্গা নিধন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে থাকায় ওয়াশিংটন বেশ গোপনেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। 

দুনিয়াজুড়ে এমনধারার অন্ধ বাণিজ্যনীতি সত্ত্বেও বৈষম্য আরও প্রকট হয়েছে। ওবামার আট বছরের শাসন শেষে আমেরিকায় এখন ধনি-গরিব বৈষম্য আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি। বার্কলের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক হিসাব অনুসারে, গত আট বছরে ১ শতাংশ পরিবার এই সময়ে অর্জিত সব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ৫২ শতাংশের সুফল করায়ত্ত করেছে। ২০০৮-এর মন্দার কারণে বাকি ৯৯ শতাংশ মানুষ যে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, এত দিনে তার দুই-তৃতীয়াংশের কম তা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন। ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট লিখেছে: অর্থনৈতিক বৈষম্যকে ওবামা তার সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলেছিলেন, অথচ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি তেমন কিছুই করেননি।

ওবামা নির্বাচিত হওয়ার দুই বছর পর মার্কিন সরকারে ক্রমাগত খর্ব হতে থাকে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য। ২০১০ সালে ডেমোক্র্যাটরা খোয়ায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ, ২০১২-তে সিনেট। অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যের আইন পরিষদ ও গভর্নরশিপও তারা ক্রমশ খোয়াতে থাকে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর ডেমোক্রেটিক সিনেটরের সংখ্যা ৫৫ থেকে কমে ৪৬-এ দাঁড়িয়েছে, আর প্রতিনিধি পরিষদে ২৫৬ থেকে ১৯৪। সবমিলে এটাও ওবামার রাজনৈতিক ব্যর্থতা।

তবে ক্ষমতা ত্যাগের শেষ মুহূর্তে এসে কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওবামা। সেসব সিদ্ধান্তের প্রশ্নে তার ইতিবাচক অবস্থানের কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন। এরমধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ। যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভেটো প্রদানের ধারাবাহিকতা থেকে বের হয়ে এসে ভোটদানে বিরত থাকার কারণেই প্রস্তাবটি পাশ হতে পেরেছে। ওবামা প্রশাসন এটি দায়িত্ব নিয়ে করেছে এবং সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অবৈধ কাজের লাইসেন্স আর দিতে চান না তারা।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ওবামা প্রশাসনের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতাবলে ৫৪৮ একর এলাকাকে সংরক্ষিত প্রাণীজগত হিসেবে ঘোষণা করেছেন ওবামা, যা আর কোনও প্রেসিডেন্ট করেননি। তারপরও ওবামা পরিবেশ বিষয়ক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে নিজেকে সফল দাবি করতে পারেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, তিনি দায়িত্বে আসলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। যদি তিনি এই চুক্তি থেকে বের হতেও চান, পদ্ধতিগতভাবে তাতে অন্তত চার বছর সময় লাগবে। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নআয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার লক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে ২০১০ সালে পাস হওয়া ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ নামে এ স্বাস্থ্যনীতি বারাক ওবামার অন্যতম প্রধান প্রশাসনিক অবদান। ওবামার এ হেলথকেয়ার ‘ওবামাকেয়ার’ নামেও পরিচিত। আইনটি পাসের পর যুক্তরাষ্ট্রে বীমার আওতামুক্ত মানুষের সংখ্যা ১৫.৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৯.১ শতাংশ। যদিও ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এ আইন বাতিল হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। এরইমধ্যে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে ওবামাকেয়ার বাতিলের প্রস্তাবটি পাসও হয়েছে।

শিকাগো শহরে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জনগণকে সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি বা না করি, গণতন্ত্র হুমকি সম্মুখীন হয়েছে।’ তিনি মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য তিনটি হুমকির দিকে নির্দেশ করেছেন – অর্থনৈতিক বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিভক্তি। জনগণকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার’ আহ্বান জানান ওবামা। তবে ওবামা বলেননি, তার শাসনামলের ৮ বছর ধরে বৈষম্য-বর্ণবাদ-অবিশ্বস্ততার কোন পাটাতনে গণতন্ত্রের এই বিপন্নতা তৈরি হলো। তবে কি ওবামা নিজেকে আড়াল করলেন? 

/এফইউ/

সম্পর্কিত
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ
সর্বশেষ খবর
পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা, ছিটকে পড়ে কাভার্ডভ্যানের চাপায় চালক নিহত
পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা, ছিটকে পড়ে কাভার্ডভ্যানের চাপায় চালক নিহত
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!