ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইচ্যুত হয়ে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৯ জন। এর মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা সীমান্তে কুনেরু স্টেশনের কাছে ভিজিয়ানাগারাম এলাকায় হীরাখণ্ড এক্সপ্রেস ট্রেনের নয়টি বগি ও ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ছত্তিশগড় রাজ্যের জগদলপুর থেকে উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বরে যাচ্ছিল।
রাতেই রেলের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। চারটি রিলিফ ট্রেন এবং মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের কর্তারাও। বিভিন্ন স্টেশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
ভারতের পূর্ব রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জে পি মিশ্র বলেন, ‘ট্রেনটির নয়টি বগি ও ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। ইঞ্জিন ছাড়া মালবাহী একটি ভ্যান, দুটি জেনারেল কোচ, দুটি স্লিপার কোচ, একটি এসি থ্রি টায়ার কোচ ও একটি এসি টু টায়ার কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে।’ ট্রেনটিতে মোট ২২টি বগি ছিল।
মিশ্র আরও জানান, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। ভিজিয়ানাগারাম ও রায়গড় এলাকার প্রশাসন উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছে।
এই দুর্ঘটনায় ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অনীল সাক্সেনা। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।’
উড়িষ্যার দক্ষিণাঞ্চলের রায়গড় এলাকার সাবকালেক্টর মুরালিধর সোয়াইন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে।’ হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত নভেম্বরে ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে শতাধিক যাত্রী নিহত হন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ভারতের রেল মন্ত্রণালয় এই দুর্ঘটনা ও উদ্ধার কাজের দিকে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।
/এসএ/