বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ছে ওয়েলসের

বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়েলসের শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে প্রচেষ্টা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (ডব্লিউবিসিসি)। তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে সংস্থাটির সফরের প্রাক্কালে এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ওয়েলসের ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন। ২৪ জানুয়ারি ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির এমন অঙ্গীকারের কথা জানানো হয়।




২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী। এর ধারাবাহিকতা হিসেবেই এবার বাংলাদেশে আসছে ডব্লিউবিসিসি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ওয়েলস-এর প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তারা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।
এর আগে ২০১১ এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করে ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স। এবারের সফরে ঢাকা, সিলেট এবং চট্রগ্রাম যাবেন ডব্লিউবিসিসি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারা। এ সময় তারা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুবিধা নিয়ে কথা বলবেন। সর্বোত্তম সুবিধাও চাইবেন তারা। কথা বলবেন বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়েলসের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা নিয়ে।
দুই পক্ষের সম্ভাব্য বাণিজ্যিক সুবিধা নিশ্চিতে নিজ নিজ সেক্টরে সেরা নতুন কোম্পানিগুলোর ওপর জোর দেবে ডব্লিউবিসিসি। এটা উভয় পক্ষের সমৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
ডব্লিউবিসিসি’র প্রতিনিধি দলে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস (ওয়েলসের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়)-এর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের উৎপাদিত কমপ্রেসার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইজেএইচ-এর প্রতিনিধিরাও এ সফরে অংশ নেবেন।
এই বাণিজ্য প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মিস অ্যালিসন ব্লেক। তিনি বলেছেন, ‘ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (ডব্লিউবিসিসি)’র তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সফরের খবরে আমি আনন্দিত। তাদের আগের সফল মিশনের ধারাবাহিকতায় এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওয়েলস এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়ই এর লক্ষ্য। আমাদের দুই দেশের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের জন্য তাদের ত্যাগ ও উদ্দীপনা ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক সংযোগের একটা চমৎকার দৃষ্টান্ত।’
সফরকারী প্রতিনিধি দলের চেয়ার ও নেতা হিসেবে থাকছেন দিলাবর এ হুসাইন। তিনি বলেছেন, ‘ওয়েলস এবং বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর এটা একটা চমৎকার সুযোগ। আশা করি ব্যবসায়ে লাভবান হওয়ার কৌশলগত লক্ষ্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টি থাকবে। দুই দেশের বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার সেতুবন্ধন তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের যুক্তরাজ্যের ব্যাপক বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। এদেশে ২৪০টির বেশি নিবন্ধিত ব্রিটিশ কোম্পানি রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত রিটেইল, ব্যাংকিং, জ্বালানি, অবকাঠামো, পরামর্শ ও শিক্ষা খাতে কাজ করে থাকে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের তৃতীয় শীর্ষ গন্তব্য যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগ দেশটির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করে থাকে। বিশ্ববাজার সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সহায়তা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
/এমপি/ আপ-এমডিপি/