কানাডার কুইবেক সিটির মসজিদে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয় জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে তিন বন্দুকধারী শহরের কুইবেক ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে অতর্কিত গুলি চালানো শুরু করে। এ সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মসজিদ কমিটি ও পুলিশের পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ ও হতাহতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এরইমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে হামলার ব্যাপারে কোনও উপসংহারে পৌঁছাতে রাজি নয় পুলিশ।
সংঘবদ্ধ এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুখোশধারী বন্দুকধারীরা যখন মসজিদটিতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে; তখন সেখানে ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
হামলার শিকার কুইবেক ইসলামিক কালচারাল সেন্টার-এর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘অবস্থা খুব গুরুতর। আল্লাহ আমাদেরকে ধৈর্য দান করুন।’
মুসল্লিদের সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছে মসজিদ কমিটি। মসজিদের ফেসবুক পেজের পোস্টে গুজবে কান না দিয়ে তদন্তের প্রাথমিক ফলাফলের জন্য অপেক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘অবস্থা খুব গুরুতর। আল্লাহ আমাদেরকে ধৈর্য দান করুন।’
এর আগে ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞার জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মসজিদ কমিটির প্রেসিডেন্ট শাহিদ হাশমি বলেন, 'এখানে দাঁড়িয়ে মসজিদটি ধ্বংস হতে দেখা খুব কষ্টের। এটা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।'
ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের নেতারা ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন। মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত বলে মন্তব্য করেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারা শরণার্থীদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরইমধ্যে রবিবার বন্দুকধারীদের হামলার শিকার হলো কুইবেক সিটির ওই মসজিদটি। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স, ইন্ডিপেনডেন্ট।
/এমপি/বিএ/আপ-এফইউ/