X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে ‘জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি’ প্রমাণ করতে পারেননি ট্রাম্প

বিদেশ ডেস্ক
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৪২আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৪৩
image

ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে ‘জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি’ হিসেবে চিহ্ণিত করেই ট্রাম্প প্রশাসন মুসলিম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলো যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি;  আদালতে তা প্রমাণ করতে পারেনি সরকার। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে করা আপিল আবেদনটি খারিজ হওয়ার কারণ হিসেবে আদালত জানায়, নিষিদ্ধ দেশগুলো যে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তায় হুমকি তা সরকার প্রমাণ করতে পারেনি। দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিনা তারও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন।  

সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় নিম্ন আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশটি বৃহস্পতিবার ফেডারেল আপিল কোর্টও বহাল রেখেছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নাইনথ ইউএস সার্কিট কোর্ট অব আপিলসে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শুনানি হয়। তিন বিচারকই সর্বসম্মতভাবে রুল জারি করেন। রুলে বলা হয়, ট্রাম্পের জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে তা বহাল থাকবে। অবশ্য, মামলাটি এখন পুরোপুরি মীমাংসার জন্য সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফেডারেল আদালতের ট্রাম্প প্রশাসন আরোপিত নিষেধাজ্ঞাটি পুনর্বহালের আবেদন জানানো হয়। সেসময় আদালত জানতে চায় নিষিদ্ধ দেশগুলো যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি তার কী প্রমাণ আছে? এ ব্যাপারে প্রমাণ হাজির করতে বলা হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত শুনানিতেও নিষিদ্ধ দেশগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি বলে প্রমাণ করতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন।

আদালতের পক্ষ থেকে ২৯ পৃষ্ঠার রুল জারির পর পরই প্রতিক্রিয়া জানান ট্রাম্প। আইনি চ্যালেঞ্জ চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে একটি টুইট করেন তিনি। সেখানেও জাতীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গটিকে টেনে আনেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘আদালতে দেখা হবে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে’।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) এক নির্বাহী আদেশে তিন মাসের জন্য ৭ মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলা হয়, এ সাত দেশের নাগরিকরা তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হল-ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়। 

নির্বাহী আদেশের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয় মুসলমানরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সংস্কৃতি কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানান। নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। 

/এফইউ/বিএ/

সম্পর্কিত
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দলে কিংবদন্তির ছেলে
বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দলে কিংবদন্তির ছেলে
রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে  ইসরায়েল?
রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে ইসরায়েল?
রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ
রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা