ইতালি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত বছরের বসন্ত মৌসুমে সাইবার হামলা সংঘটিত হয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে চার মাসেরও বেশি সময় এ মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের সবার ইমেইল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এ হামলার নেপথ্যে রাশিয়ার হাত আছে বলে সন্দেহ করছে ইতালি সরকার। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইতালির একজন সরকারি কর্মকর্তা।
সাইবার হামলার সময় ইতালির প্রধানমন্ত্রী পাওলো জেন্তিলোনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে হ্যাকিংয়ের কারণে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হননি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। তারা জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে ইমেইল ব্যবহার এড়িয়ে চলতেন জেন্তিলোনি। এর সুবাদে সাইবার হামলার পরও তা সুরক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
হ্যাকাররা ইতালি ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের ইমেইলে সাইবার হামলা চালিয়ে সফল হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ও রাষ্ট্রের সংবেদনশীল তথ্যসংবলিত ইমেইলে ঢুকতে পারেনি তারা। এর মধ্যে জেন্তিলোনির পাঠানো ইমেইলও ছিল। কারণ এগুলোতে বিশেষ কোড ব্যবহার করা হয়।
ইতালির একজন কূটনীতিক জানান, সাইবার হামলার পরপরই তড়িঘড়ি সব সিস্টেম মজবুত করা হয়। তবুও হ্যাকারদের শনাক্ত করতে কয়েক মাস লেগে গেছে। এ সাইবার হামলার উৎস হিসেবে প্রাথমিকভাবে দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের অবস্থান রাশিয়ায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা তদন্ত করে দেখছেন রোমের চিফ প্রসিকিউটর। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতালি সরকারের কাছে এ দাবি প্রমাণের কোনও তথ্য নেই।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ ওঠে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। অভিযোগ আছে, হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়লাভের পেছনে রাশিয়ার হ্যাকিং সহায়ক হয়েছে। ফ্রান্স আর জার্মানিতেও এ বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তখন দুই দেশই রাশিয়ার অনধিকার হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছে। নেদারল্যান্ডস তো হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা থেকে আগামী মাসের নির্বাচনে ভোটের ব্যালট হাতে গোনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
/জেএইচ/