ইমিগ্রেশন বন্ধ নয়, একটি পরিকল্পিত অভিবাসন নীতিমালার মাধ্যমে প্রশিক্ষিত ইমিগ্র্যান্টদের ব্রিটেনে প্রবেশের দরজা খোলা রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের সাবেক অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন।
মঙ্গলবার লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের বাৎসরিক কনফারেন্সে প্যানেল আলোচনায় সরকারের ইমিগ্রেশন নীতির পরিবর্তনের আভাস দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন ব্রিটেনের সাবেক এই অর্থমন্ত্রী।
বিশ্বব্যাপী ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থার সুনামের কথা উল্লেখ করে জর্জ অসবর্ন বলেন, ‘প্রতি ৭ জনের মধ্যে একজন বিশ্বনেতার ব্রিটিশ ডিগ্রি রয়েছে, তাই ব্রিটেন সব সময় উচ্চশিক্ষার সুযোগটি খোলা রাখতে চায়।’
ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের ভবিষ্যত ইমিগ্রেশন পলিসি নিয়ে যখন চারদিকে ব্যাপক আলোচনা সেই মুহুর্তে জর্জ অসবর্নের এমন উক্তি অভিবাসীদের জন্য ইতিবাচক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে বলেই ভাবা হচ্ছে।
তবে জর্জ অসবর্ন মনে করেন, ব্রিটেনের ভবিষ্যত অর্থনীতির মেরুদণ্ড কতটা শক্তিশালী হবে তা নির্ভর করবে ইউরোপের সঙ্গে ভবিষ্যত বাণিজ্য চুক্তির ওপর। বিশেষ করে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের বাণিজ্য সমঝোতার ওপর ব্রিটেনের ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে, কেননা এই দু'টি দেশের সঙ্গেই ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি।
সম্মেলনের মূল আলোচনায় ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস মার্টিন ও প্রধান আলোচক ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ডক্টর অ্যাডাম মার্শালের বক্তব্যে উঠে আসে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বৃহৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা অস্থিতিশীল সময় পার করেছে। একদিকে স্থানীয় ব্যবসায়গুলো টিকে থাকতে পারছে না রেন্ট ও রেটের ঊর্ধ্বগতির কারণে, অন্যদিকে বেক্সিটের অনিশ্চয়তার প্রভাব ঠিক কবে কাটবে তার কোনও সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দিতে পারছেন না রাজনীতিবিদরা।
চেম্বার নেতৃবৃন্দের উদ্বেগের জবাবে অ্যান্ডি বার্নহ্যাম এমপি সরকারের দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা সৃষ্টির কথা জানান।
কনফারেন্সে ব্রিটেন, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও তুর্কির প্রায় এক হাজার ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
/টিএন/