ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে কিছুদিন আগে কাটা একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। মেঘালয়ের তুরা সেক্টরে বুধবার পাহারা দেওয়ার সময়ে একটি পাহাড়ের ঢালে দেখতে পাওয়া যায় সুড়ঙ্গটি। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গ যেখানে পাওয়া ওই জায়গাটির নাম গুজংপাড়া। ওই এলাকাতে ঘন জঙ্গল রয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ভেতরে গিয়ে দেখা যায় যে সেটি কাঁটাতারের বেড়ার দিকেই এগিয়েছে প্রায় ৫০ ফুট মতো। সুড়ঙ্গটি এখনও কাটা হচ্ছে, মাটি এখনও আলগা।
এর আগে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এ ধরণের সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গেলেও পূর্বাঞ্চলে এই ঘটনা প্রথম। বাংলাদেশের দিকে নেমে যাওয়া একটা পাহাড়ের ঢালে সুড়ঙ্গ মুখটি পাওয়া যায়।
বিএসএফ-এর মেঘালয় সীমান্ত অঞ্চলের আইজি পি. কে. দুবে বিবিসিকে জানান, ‘সুড়ঙ্গটি প্রায় ৫০-৬০ ফিট পর্যন্ত কাটা হয়েছে। মাটিও আলগা রয়েছে - অর্থাৎ সপ্তাহখানেকের মধ্যে এটি কাটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে সীমান্তের কাঁটাতারের তলা দিয়ে বাংলাদেশ অবধি পৌঁছতে হলে আরও প্রায় ৫০ ফুট মতো কাটতে হতো।’
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চোরাচালান বা মানব পাচারের জন্য সুড়ঙ্গ আগেও পাওয়া গেছে। এসব সুড়ঙ্গ দিয়ে উগ্রপন্থীদের ভারতের প্রবেশের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু পূর্বাঞ্চলে এটা প্রথম ঘটনা হওয়ার ফলে চিন্তায় পড়ে গেছে বিএসএফ। কী কারণে সীমান্তের কাছে সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছিল তা নিয়ে বিএসএফ তদন্ত শুরু করেছে। বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন সুড়ঙ্গটি খতিয়ে দেখতে।
বিএসএফ-এর আইজি দুবে জানান, এই সুড়ঙ্গটি গরু বা মানুষ পাচার - দুটো কাজেই ব্যবহার করার জন্য কাটা হচ্ছিল বলেই তাদের মনে হচ্ছে। কিন্তু বিএসএফের কয়েকটি সূত্র মতে, সুড়ঙ্গটা মাত্র তিন ফুট মতো চওড়া- তা দিয়ে গরু পাচার কার্যত অসম্ভব। হামাগুড়ি দিয়ে মানুষ ঢুকতে পারে বড়জোর।
আর ওই এলাকায় যেহেতু জঙ্গীগোষ্ঠীগুলি সক্রিয়, তারাও নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই সুড়ঙ্গ কাটছিল - এমনটাও হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে। তাদের দাবি, সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার কর্ণঝোড়ায় বিজিবি-র সীমান্ত চৌকি আছে। সেখানে অবস্থানরত ২৭ নম্বর বিজিবি ব্যাটালিয়নকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
/এএ/