বি
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির সীমান্তের ‘লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ড্রোন’ মোতায়েন সংক্রান্ত খবর দিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে তারা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে কৌশলগত অবস্থান নিতেই ভারত ড্রোনগুলো মোতায়েন করেছে। ড্রোনগুলো যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হলে তা ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে। পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে, আরও অস্থিতিশীল।‘
পাকিস্তানের কিছু সূত্রের দাবি, ড্রোনগুলোতে নাইট ভিশন ক্যামেরাও রয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ড্রোনগুলোর ডাটা সেন্টার শ্রিনগরে রয়েছে। সেখান থেকেই এগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পদক্ষেপে শুধু ওই অঞ্চলের পরিস্থিতিরই অবনতি হবেনা বরং ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে আরো জটিল করে তুলবে। কারণ পাকিস্তানের অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এমন ড্রোন তাদের সরবরাহ করেনি। দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত আলি সারওয়ার নাকভি বলেন, এটা সত্যিই উদ্বেগজনক। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নতুন এক কৌশলগত চুক্তি করেছে। এর আওতায় ভারতে সেই ড্রোনগুলো পেয়ে থাকতে পারে।
তিনি পরামর্শ দেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই ইস্যু আলোচনার পাশাপাশি এলওসিতে ড্রোন মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থাও নিতে হবে।
ইসরায়েলের সরবরাহ করা ড্রোনও ব্যবহার করছে ভারত। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে এলওসিতে একটি গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করে পাকিস্তান। সেসময় পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সম্পর্কের আরো অবনতি হয়। তবে এবার মার্কিন এই ড্রোন ব্যবহারে আরো বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের ড্রোন ব্যবহারের কারণে সামরিক সংঘর্ষ হতে পারে এই দুই দেশের।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
/এমএইচ/বিএ/