X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

উ. কোরীয় হুমকি মোকাবেলায় সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

বিদেশ ডেস্ক
১৭ মার্চ ২০১৭, ১৬:১০আপডেট : ১৭ মার্চ ২০১৭, ১৯:৪৭
image





উ. কোরীয় হুমকি মোকাবেলায় সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উ. কোরিয়ার সামরিক হুমকি মোকাবেলায় ‘ভিন্ন পথ’ গ্রহণের ‘অপরিহার্যতা’ তুলে ধরেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স ডাব্লিউ টিলারসন। প্রথম এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে জাপানে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন। টিলারসন সরাসরি সামরিক হামলার হুমকি দেননি। তবে গত ২০ বছরের কূটনৈতিক ও অন্যান্য পথ ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে সেই ইঙ্গিত দেওয়ারই চেষ্টা করেন তিনি।



উল্লেখ্য, কদিন আগে জাপান সাগরে ধারাবাহিক চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা বা ইইজেড’র মধ্যে গিয়ে পড়ে।
টোকিওতে জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে টিলারসন বলেন, ‘উ. কোরিয়াকে পরমাণুমুক্ত করতে গত বিশ বছরে নেওয়া কূটনৈতিক ও অন্যান্য তৎপরতা ব্যর্থ হয়েছে।’ টিলারসন মন্তব্য করেন, ওই ২০ বছরে উ. কোরিয়ার পরমাণু-বিস্তৃতি রোধে ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বিফলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের স্বার্থও আমার সফরের সঙ্গে জড়িত’, জানান টিলারসন। জাপান সফর শেষে তার দ. কোরিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি সেই ‘নতুন দৃষ্টিভঙ্গি’ স্পষ্ট করার আশ্বাস দেন।
উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক চারটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলে সৃষ্ট উদ্বেগের প্রেক্ষিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক প্রযুক্তির পরীক্ষা বন্ধ করতে উত্তর কোরিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে চীন। তবে এর নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র আর দক্ষিণ কোরিয়াকেই দায়ী করেছে দেশটি। তবে এজন্য বিরোধীদেরও ভূমিকা নিতে হবে মনে করে তারা। সংকট নিরসনে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, এর বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করা, কারণ এটি উত্তর কোরিয়াকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
জাপানে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার প্রস্তুতি হিসেবে সম্প্রতি জাপান অভিমুখে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি করে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অবিলম্বে দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে বলে হোয়াইট হাউসের দেওয়া ঘোষণার পরপরই উ. কোরিয়া ওই দাবি তোলে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ মঙ্গলবার জানায়, জাপানে অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটিগুলোতে হামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উত্তর কোরিয়ার একটি সেনা ইউনিট সোমবার জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দেশটির নেতা কিম জং-উন ব্যক্তিগতভাবে এ পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেছেন।
কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি করেছে পিয়ংইয়ং। ওই মহড়াকে উত্তর কোরিয়ায় হামলার প্রস্তুতি বলে মনে করছে দেশটি। এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সিন স্পাইসার সোমবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে উত্তর কোরিয়ার ‘উস্কানিমূলক আচরণের’ পুনরাবৃত্তি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের হুমকি প্রতিহত করার উদ্দেশ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘থাড’ মোতায়েন করা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সূত্র জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার চীন সীমান্তের নিকটবর্তী তংচ্যাং-রি অঞ্চল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইওনহ্যাপ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সম্ভবত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র; যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। মূলত এরপরই চীনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া উপেক্ষা করে দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন শুরু করে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যেই স্থাপন করা হচ্ছে টার্মিনাল হাই অ্যালটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম (থাড) নামের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে এতে ইতোমধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। তারা এটাকে এশীয় অঞ্চলে জোরপূর্বক যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উত্তর কোরিয়ার টার্গেটে পরিণত হবে। এটি সামরিক এলাকাগুলোর আশেপাশে থাকা মানুষদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
সূত্র: বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস
/বিএ/

সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা