জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হামলা চালানোর হুমকির পর ভারতের আগ্রায় অবস্থিত তাজমহলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে শুক্রবার তাজমহল সংলগ্ন এলাকায় টহল দিয়েছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবারও ওই এলাকার ওপর অতিরিক্ত নজর রাখে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বলছে, এটা তাদের রুটিন ওয়ার্কেরই অংশ।
এর আগে আইএস ঘেঁষা একটি মিডিয়া গোষ্ঠী ‘আহ্ওয়াল উম্মত মিডিয়া সেন্টার’-এর অ্যাপে বলা হয়, আইএসের হুমকির নিশানায় রয়েছে তাজমহল। তারা ভারতের আরও কয়েকটি জায়গায় হামলা চালাতে পারে। তবে প্রধান টার্গেটগুলোর তালিকায় রয়েছে তাজমহলের নাম।
আইএসের অ্যাপটিতে তাজমহলের ছবিসহ গ্রাফিক্স প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সামরিক পোশাকে এক জঙ্গির ছবি রয়েছে। কালো হেডগিয়ার (শিরস্ত্রাণ) পরে থাকা জঙ্গির হাতে রয়েছে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, রয়েছে রকেট-চালিত গ্রেনেডও। তাকে আগ্রায় তাজমহলের প্রেমের সৌধের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সেই গ্রাফিক্সের ইনসেটেও রয়েছে তাজমহলের আরেকটি ছবি। যার নিচে লেখা, ‘নিউ টার্গেট’। মানে আইএসের নতুন নিশানা। সেখানে একটি ভ্যানের ছবিও রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে- ‘আগ্রা ইস্তিহাদি’ (আগ্রায় শহীদ হওয়ার প্রতীক্ষায়)। গ্রাফিক্স আর ওই সব বয়ান থেকেই তাজমহলে জঙ্গি হানার আশঙ্কা জোরদার হয়েছে।
আইএসের তরফে অবশ্য এর আগেও ভারতে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। লখনউয়ে সন্দেহভাজন জঙ্গি সইফুল্লাহ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর একটি টেলিগ্রাম পাঠিয়ে ভারতে নাশকতার হুমকি দেয় একটি আইএস ঘেঁষা একটি টেলিভিশন চ্যানেল। সইফুল্লাহকে তারা ‘ভারত থেকে খলিফার সেনা’ বলেও মর্যাদা দেয়।
ইন্টারনেট ও মেসেজ অ্যাপসের মাধ্যমে বহুদিন ধরেই আইএস তাদের আদর্শে দীক্ষিত করতে চাইছে যুবকদের। ভারতের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার হিসাবে, দেশটিতে এখনও পর্যন্ত আইএসে যোগ দিয়েছেন ৭৫ জন ভারতীয়। তবে বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা আরও অনেকটাই বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যে ভারতীয় যুবকরা আইএসে যোগ দিয়েছে, তাদের বেশিরভাগই মহারাষ্ট্র, কেরল ও কর্নাটক এলাকার। আইএসের দখলে থাকা এলাকায় ঢুকতে গিয়েও ধরা পড়েছেন অন্তত ৩৭ জন ভারতীয়। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার।
/এমপি/
