লিবিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান খলিফা হাফতারের বিরুদ্ধে রুশ সংযোগের অভিযোগ করেছেন আফ্রিকার মার্কিন কমান্ডার মেরিন জেনারেল থমাস ওয়াল্ডহাউজার। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাফতারের সঙ্গে রাশিয়ার অনস্বীকার্য সম্পর্ক রয়েছে।’ লিবিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকা মার্কিন স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চলতি মাসের প্রথমদিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিশরের পশ্চিমাঞ্চলে লিবিয়া সীমান্তের নিকটবর্তী এক বিমানঘাঁটিতে রাশিয়া বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছে। তবে রাশিয়া ওই প্রতিবেদনের তথ্য অস্বীকার করেছে।
লিবিয়ায় রুশ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্কে জেনারেল ওয়াল্ডহাউজার বলেন, ‘লিবিয়ায় রুশ সেনাবাহিনী রয়েছে। তারা আমাদের কর্মকাণ্ডে প্রভাব বিস্তার করছে। আর তা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক।’
মার্কিন নীতি-নির্ধারক ও সেনা বিশ্লেষকদের মতে, লিবীয় সেনাপ্রধান হাফতারকে সহযোগিতার জন্যই রাশিয়া সেখানে সেনা মোতায়েন করছে।
এ প্রসঙ্গে ওয়াল্ডহাউজার বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা সাধারণ জ্ঞানের বিষয়। হাফতারের সঙ্গে রাশিয়ার অনস্বীকার্য সম্পর্ক রয়েছে। লিবিয়ায় রুশ স্বার্থ এবং তাদের কর্মকাণ্ড আমাদের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করবে।’
তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া ও উত্তর আফ্রিকায় রাশিয়ার উপস্থিতি মার্কিন কর্তৃপক্ষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০১১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট লিবিয়ায় আগ্রাসন চালিয়ে তৎকালীন শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর থেকেই লিবিয়ার তেল সম্পদের দখল রয়েছে ন্যাটো বাহিনীর হাতে। তবে গত দুই বছরে রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বিশেষ বাহিনীর সেনা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে লিবিয়ায়।
ওয়াল্ডহাউজার জানান, জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে সমর্থন ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) হামলার জন্য মার্কিন বাহিনী লিবিয়ায় অবস্থান করছে। তিনি আরও জানান, এখনও প্রায় ১০০ থেকে ২০০ আইএস সদস্য রয়েছে লিবিয়ায়।
সূত্র: রয়টার্স।
/এসএ/