ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বুধবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক-এর হাতে একটি চিঠি তুলে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ৫০ অনুসারে তার হাতে চিঠিটি তুলে দেওয়া হয়। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড টাস্ক। থেরেসা মে স্বাক্ষরিত চিঠিটি তার হাতে হস্তান্তর করবেন ইইউ-তে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত টিম বারো।
এই চিঠি হস্তান্তরের পর যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে আর কোনও বাধা থাকলো না।
বুধবার দুপুরে থেরেসা মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমপিদের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি দেবেন। এতে তিনি তাদের অবহিত করবেন যে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিদায়ের সময় গণনা শুরু হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, তিনি আলোচনার সময় যুক্তরাজ্যের প্রতিটা মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবেন, যাদের মধ্যে ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকরাও রয়েছেন। ব্রেক্সিটের ফলে তাদের ভাগ্যে কী হবে সেটি এখনো অনিশ্চিত।
২০১৬ সালের জুনে এক গণভোটে ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় ব্রিটিশ নাগরিকরা। থেরেসা মে তার বক্তব্যে ব্রেক্সিট ঘিরে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের বিষয়ে কথা বলবেন।
এদিকে যুক্তরাজ্যেল বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে তার দল সম্মান করে। তবে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতি তারা নজর রাখবে।
আর্টিকেল ৫০ দুই পক্ষকেই একটি চুক্তিতে পৌছানোর জন্য দুই বছর সময় দেবে। যদি দুই পক্ষই আলোচনার মেয়াদ বাড়াতে সম্মত না হয়, তবে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিদায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।
/এমপি/