ভারতের হরিয়ানার গুরুগাঁওয়ে ৫০০টিরও বেশি মাংসের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনা। নবরাত্রি উৎসবকে সামনে রেখে এসব দোকানে হানা দেয় শিবসেনা কর্মীরা। এ সময় তারা দোকানদারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। শুধু গরুর মাংসের দোকানই নয়; বরং মুরগির মাংস পাওয়া যায় এমন দোকানগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বহুজাতিক ফাস্টফুড চেইন শপ কেন্টাকি ফ্রাইড চিকেন (কেএফসি)-ও রয়েছে।
শিবসেনার দাবি, তারা গুরুগ্রামের সব মাংস দোকানের মালিকদের তিন দিন আগে নোটিস দিয়ে নবরাত্রিতে এবং প্রতি মঙ্গলবার দোকান বন্ধ রাখতে বলেছিল। মঙ্গলবার দুই শতাধিক শিবসেনা কর্মী অভিযান চালিয়ে এ আহ্বান অমান্যাকারী ৫০০টির অধিক মাংসের দোকান বন্ধ করে দেয়।
বুধবারও পুরনো গুরুগাঁও-এর অধিকাংশ মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে।
গুরুগ্রাম পুলিশের কর্মকর্তা মণীশ সেহগল বলেন, কয়েকটি মাংসের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে সেগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ওই দোকানগুলো বৈধ লাইসেন্স নিয়ে চলছে। জোর করে দোকান বন্ধের খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেএফসি’র একজন মুখপাত্র বলেছেন, দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেএফসি আইন মেনেই ব্যবসা করে। আমাদের কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমরা মনে করি প্রত্যেক ভোক্তার তার নিজের পছন্দের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আছে।
এর আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি শাসিত রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশে বেআইনি কসাইখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী এপ্রিল থেকে এ নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ’ও এই গোরক্ষা আন্দোলনের একজন কট্টর পৃষ্ঠপোষক।
রাজস্থানের জয়পুর পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রায় ৪ হাজার কসাইখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাংস বিক্রেতা সংগঠনের প্রধানের দাবি, এই চার হাজারের মধ্যে ৯৫০টি কসাইখানার আইনি স্বীকৃতি ছিল। কিন্তু গতবছর ৩১ মার্চের পর আবেদন করা সত্ত্বেও তাদের লাইসেন্স আর নবায়ন করা হয়নি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে।
/এমপি/