রাশিয়ার পাতাল রেলে বিস্ফোরণে মধ্য এশীয় বংশোদ্ভূত এক তরুণ জড়িত বলে জানিয়েছে বিভিন্ন রুশ সংবাদমাধ্যম। প্রকাশিত প্রতিবেদনে এটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলেও উল্লেখ করা হয়। রুশ সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন ১১ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন।
সোমবার বিকালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের দু’টি পাতাল রেল স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় একটি ট্রেনে ওই বিস্ফোরণ হয়।
রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফেক্স ও তাস জানিয়েছে, হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। ২৩ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন হামলাকারী মধ্য এশীয় বশোদ্ভূত। তিনি উগ্রপন্থী ইসলামি মতবাদে সম্পৃক্ত বলেও জানায় ইন্টারফেক্স।
তবে এটি আত্মঘাতী হামলা ছিল কিনা, সে সম্পর্কে বিভিন্ন রুশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে মতভিন্নতা রয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ কর্তৃপক্ষ তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।
বিস্ফোরণের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেন্ট পিটার্সবার্গেই ছিলেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এই বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে মনে করছে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ‘এটি সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে।’
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টেও একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে দাবি করেন। তিনি জানান, হামলার পরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও হামলার সম্ভাব্য সব কারণ নিয়ে তদন্তকাজ পরিচালনা করবেন তদন্তকারীরা।
এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদসহ সম্ভাব্য সব কারণকে মাথায় রেখে তদন্ত চলবে। পুতিন বলেন, ‘তদন্তই সব বলবে। সম্ভাব্য সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত চালাব আমরা। তবে শুরুতেই আমরা দেখতে চাইব, হামলাটি সন্ত্রাসবাদী ধারার কিনা।’
এ হামলার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য প্রকাশিত হয়নি। কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, আত্মঘাতী হামলাকারীর দেহাবশেষ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একজন নারীও এ হামলায় জড়িত থাকতে পারে বলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে।
এই ঘটনায় শোক ও নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা।
/এসএ/