X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
সংবাদ বিশ্লেষণ

সিরীয় যুদ্ধের নেপথ্যে ট্রাম্পের ‘আবেগী’ পররাষ্ট্রনীতি?

আরশাদ আলী
০৯ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:০১আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০১৭, ০২:৩০

সিরীয় বিমানঘাঁটির হামলাকে মধ্যপ্রাচ্যে সিরীয়বিষয়ক মার্কিননীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষমতাগ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া বিষয়ে যে নীতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তা থেকে এটি উল্টোপথে হাঁটার ইঙ্গিতও। ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের পর বিভক্ত মার্কিন রাজনীতিও হামলাকে কেন্দ্র ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে চলে এসেছে। ট্রাম্পবিরোধী শিবির ডেমোক্র্যাটরা এই হামলাকে সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়া সিরিয়ায় সামরিক অভিযানে কংগ্রেসে আলোচনার জন্যও প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে হামলাটি রুশ-মার্কিন সম্পর্কে নতুন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। যদিও সিরিয়ায় রুশ-মার্কিন উত্তেজনার পরও দেশ দু’টির সম্পর্কোন্নয়নে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।

সিরীয় যুদ্ধের নেপথ্যে ট্রাম্পের ‘আবেগী’ পররাষ্ট্রনীতি?

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবর থেকে জানা গেছে, হামলার ২৪ ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিরিয়া যদি আবারও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে ফের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, আসাদ যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বসে থাকবে না। বসে থাকার  দিন শেষ হয়ে গেছে।  

নিকি হ্যালির এই বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক অবস্থান স্পষ্ট।  কিছুদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার ট্রাম্পের অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্প নিজেও বলেছিলেন, আসাদের চেয়ে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সিরিয়া নিয়ে ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন যে ঘটেছে, তা প্রতীয়মান। অবশ্য নিকি হ্যালির বক্তব্যে শুক্রবারের হামলার পর সিরিয়ায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখারও কোনও ইঙ্গিত নেই। যা একভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পিছিয়ে আসা বলা যেতে পারে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব শেন স্পাইসারও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী সামরিক বা কূটনীতিক পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ায় ট্রাম্পের নীতি কী হবে, তা নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এমনকি সিরিয়ায় ট্রাম্পের এই হামলা চালানোর নেপথ্য কারণও খুঁজে দেখার  চেষ্টা করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এরপর সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র কোন পথে হাঁটবে, রাশিয়া কিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবে বা অবস্থান কী হবে।  

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে হামলার নেপথ্য কারণ সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তথ্য-উপাত্তের চেয়ে ছবি ও দৃশ্যমান উপায়ে গোয়েন্দা তথ্য শুনতে পছন্দ করেন। ফলে মার্কিন গোয়েন্দারা সিরিয়ার রাসায়নিক হামলার বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক ছবি তুলে ধরেন ট্রাম্পের সামনে।

হামলার নির্দেশ দেওয়ার আগে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলা মার্কিন সিনিয়র কর্মকর্তা ও কংগ্রেস সদস্যরা দাবি করেছেন, দু’টি ছবি ট্রাম্পকে খুব প্রভাবিত করে। একটি ছবিতে অসংখ্য শিশু গ্যাস হামলার পর আতঙ্কের মধ্যে পানি দিয়ে নিজেদের পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে। দ্বিতীয় ছবিতে এক বাবা মৃত দুই যমজ সন্তানকে কোলে নিয়ে নিয়ে নরম সাদা কাপড়ে বসে আছেন। ট্রাম্পের এক শীর্ষ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ছবি দেখে প্রভাবিত হওয়ার আগে ট্রাম্প সারাদিন ও রাতে টেলিভিশনের খবর দেখেছেন। সিরিয়ার ভিডিও ফুটেজ দেখে বারবার ‘ভয়াবহ’ ও ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করছিলেন তিনি।  এমনকি হামলার নির্দেশের ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিতেও ট্রাম্প বার বার নিষ্পাপ শিশুদের কথা তুলে ধরে বলেছেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

ট্রাম্পের এক উপদেষ্টা কেলিয়ানে কনওয়ে বলেন,  বিশ্বে শিশুরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছে। কারও পক্ষে এটাকে অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। আমাদের অটল ও প্রেসিডেন্টও তা এড়িয়ে যেতে পারেননি।

সিরিয়ার শিশুদের ছবি দেখে আলোড়িত হওয়াকে মার্কিন কর্মকর্তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণ হিসেবে হাজির করে ট্রাম্পকে উপস্থাপন করতে চাইলেও বাস্তবতা ভিন্ন। ওয়াশিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ওয়াশিংটন পোস্টের শীর্ষ তিন সাংবাদিকের তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়াবহ ছবি দেখেই ট্রাম্প সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন—এটা মেনে নেওয়া কঠিন। সিরিয়ার মানুষের জন্য তার উদ্বেগ কোন পর্যায়ে, তা বুঝতে পারা গেছে ট্রাম্প যখন সিরিয়ার শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এটি নিয়ে কথা বলেছেন নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়া হিলারি ক্লিনটনও।  

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তোলপাড় থামেনি। বরং ট্রাম্পের প্রশাসন-সংশ্লিষ্টদের রুশ সংযোগের অভিযোগ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। ঠিক সেই সময়ে সিরিয়া অভিযান ট্রাম্পের পাতানো রুশবিরোধিতার প্রদর্শনী কিনা, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, পাতানো যুদ্ধের ভান করে ট্রাম্প ওবামার চেয়ে কঠিন ও শক্তিশালী নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চাইছেন কিনা। কানেক্টিকাটের ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ক্রিস মার্ফি শুক্রবার ট্রাম্পের ২৪ ঘণ্টার উল্টো সিরীয় নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলছেন, সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালানোর আগ পর্যন্ত আসাদকে গুরুত্ব দেননি ট্রাম্প। মার্ফি দাবি করেন, সিরিয়া নিয়ে ট্রাম্পের কোনও নীতি নেই। টিভির খবর ও ছবি দেখেই আবেগতাড়িত হয়ে ট্রাম্প ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ‘পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রেসিডেন্টের এমন ভাববিলাসী প্রতিক্রিয়ায় আমাদের সবার উদ্বেগ থাকা উচিত।‘ সতর্ক করেন মারফি। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক গৌরেবিখ ট্রাম্পের এই হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট মনে করছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ঘরোয়া রাজনীতি কঠিন, জটিল ও সময়ের অপচয় হিসেবে দৃশ্যমান হওয়ার পর পররাষ্ট্র বিষয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তা প্রদর্শনের জন্য ট্রাম্প ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সপ্তাহের শুরুতে উত্তর কোরিয়াকে ধরে ট্রাম্পের এ মনোভাব প্রকাশ শুরু হয়। প্রথমে একটি হালকা লক্ষ্য নিয়ে শুরু করেন এবং চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের আগে সিরিয়ায় হামলা করে একটু কঠোর মনোভাব দেখালেন।’

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক। তিনি মনে করেন, সিরিয়ায় চালানো হামলাটি মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্কের বিষয়ে ধারণা দেয়। তিনি লিখেছেন, রাশিয়াকে ৫৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগেই জানিয়েছিল। ওয়াশিংটন দাবি করছে, এক ঘণ্টা নয়, বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই জানানো হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে নিশ্চয় সিরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ঘাঁটি থেকে সরে যেতে পারত। সিরীয় যুদ্ধে রাশিয়ানরা মারা যাচ্ছে না।

রবার্ট ফিস্ক প্রশ্ন তুলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনেক আগে জানার পর বিমানঘাঁটিতে কোনও সিরীয় যুদ্ধবিমান ছিল বা কোনও অস্ত্র রানওয়েতে রেখে গিয়েছিল? তিনি লিখেছেন, বাস্তবে সিরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্কের বিষয়ে বেশি জানান দেয়।

সিরিয়ায় মার্কিন হামলার রুশ- প্রতিক্রিয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের হামলাটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে।। সিরিয়ার আকাশসীমায় রুশ-মার্কিন বিমান নিরাপত্তা চুক্তিও স্থগিত করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন-এর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলা একটি সার্বভৌম দেশের ওপর আগ্রাসনের শামিল। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি রুশ-মার্কিন সম্পর্কের ওপর একটা আঘাত; যা এরইমধ্যে বেশ দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। এ হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জবাবে পাল্টা সামরিক আক্রমণ না করার কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার সংসদ ডুমার ডেপুটি স্পিকার পিওতর তলস্তয়। তিনি বলেন, ‘আমরা কিভাবে প্রতি-আক্রমণ করতে পারি? অবশ্যই আমরা সামরিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে পারি না।’ রাশিয়ার এমন প্রতিক্রিয়াতে খুব বেশি আক্রমণাত্মক কিছু নেই। মার্কিন এ হামলার পর কঠোর হুঁশিয়ারিমূলক কিছুও বলা হয়নি। এমনকি ট্রাম্পেরও কোনও সমালোচনাও আসেনি পুতিনের পক্ষ থেকে। ফলে ‘ফাঁকা’ বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে—বমেন ধারণা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

ট্রাম্পবিরোধী ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকবানরা এই হামলাকে সমর্থন জানিয়েছেন। পাশপাশি সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরুর জন্য ট্রাম্পকে চাপ দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর পক্ষ থেকেও হামলাকে সমর্থন জানানো হয়েছে। বিপরীতে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সাংঘর্ষিক বলে সমালোচনা হচ্ছে।

সিরীয় বিমানঘাঁটির হামলাকে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যনীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের শপথে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া বিষয়ে যে নীতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তা থেকে এটি উল্টোপথে হাঁটার ইঙ্গিতই বটে। ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের পর বিভক্তির সূত্রেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে মার্কিন রাজনীতি। ট্রাম্পবিরোধী শিবির হয়েও ডি ফ্যাক্টো মার্কিন রাজনৈতিক ক্ষমতার ডেমোক্র্যাট অংশ এই হামলাকে সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়া সিরীয় সামরিক অভিযান নিয়ে কংগ্রেসে আলোচনার জন্যও প্রস্তাব দিয়েছে। হামলাটি রুশ-মার্কিন সম্পর্কেকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ এবং রহস্যময় করে তুলেছে নানান রকম প্রশ্নের জন্ম দিয়ে।

সিরিয়ায় এই হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প তার এক বিশেষ ‘প্রতিশ্রুতি’ থেকে সরে এসেছেন। নির্বাচনি প্রচারণা ও কংগ্রেস ভাষণে তিনিদাবি করেছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চান, বিশ্বের নয়। এবং ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতিও এর ওপর ভিত্তি করে দাঁড় করানো। কিন্তু সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প নিজেকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করেননি। ট্রাম্প ভাষণটি শেষে করেছেন প্রচলিত কায়দায়। বলেছেন, ‘ঈশ্বর মঙ্গল করুন আমেরিকার’। কিছুক্ষণ থেমে যুক্ত করেন, ‘এবং সারা বিশ্বের’। পুরো নির্বাচনি প্রচারণায় প্রচলতি রাজনৈতিক কাঠামোকে অস্বীকার ও ব্যঙ্গ করে আসা ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত সেটাকেই গ্রহণ করলেন। তিনিও আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মতোই বিশ্বের নেতা হয়ে উঠতে চাইছেন। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ান।

/বিএ/

সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভস্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করলো ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!