যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকি শহরে হিজাব পরায় লাঞ্ছিত হয়েছেন এক মুসলিম নারী। বাসা থেকে মসজিদে যাওয়ার সময় তাকে ব্যাপক মারধর করে এক দুর্বৃত্ত। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করে হামলাকারী। পরে সেখান থেকে কোনও রকমে বাসায় পৌঁছালে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ঘটনার শিকার ওই নারী তার পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। তিনি জানান, হামলাকারী তাকে পশুর মতো মারধর করে। এ সময় সে নানা আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে।
গত সোমবার নামাজ আদায়ের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে এ হামলার শিকার হন ওই নারী। তার ভাষায়, হিজাব পরিধানের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে এ হামলা চালায়। মনে হচ্ছিল, আজ আমি নিশ্চিতভাবেই মারা যাচ্ছি।
ওই নারীর ভাষায়, ‘সে আমাকে হিজাব খুলতে বলে। আমি প্রতিবাদ করে হিজাব না খোলার কথা বলি। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর আমাকে পশুর মতো মারধর করতে থাকে।’
হামলার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে ওই নারীকে রক্তাক্ত করে হামলাকারী। এতে তার জ্যাকেট ছিঁড়ে যায়। পরনের হিজাব খুলে নেওয়া হয়।
এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামিক সোসাইটি অব মিলওয়াকি’র মুনজেদ আহমেদ। তিনি বলেন, এটা একটা ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হামলা। অবশ্যই আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে ভয়ের মধ্যে আছি। আমরা চাই আমাদের কমিউনিটির মানুষ নিরাপদে থাকুক।
মুনজেদ আহমেদ বলেন, কোনও কিছু চুরি হয়নি। এটা কোনও ডাকাতি নয়। ঘটনার শিকার নারীর মূল্যবান সামগ্রী তার সঙ্গেই আছে। হামলার একমাত্র কারণ, তার পরনের হিজাব। হামলাকারী হিজাবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল। সূত্র: ফক্স সিক্স নিউজ মিলওয়াকি, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
/এমপি/