ইসরায়েলে আটক ১৫০০ রাজনৈতিক বন্দি গণঅনশন শুরু করেছেন। সোমবার কারাগারে মৌলিক অধিকার আদায় ও মানবেতর পরিস্থিতি ঠিক উন্নয়নের দাবিতে তারা এই অনশন শুরু করেন। ১৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনের কারাবন্দি দিবসে শুরু তাদের এই অনশনে নেতৃত্ব দেন ফাতাহ নেতা মারওয়ান বার্ঘুতি।
প্যালেস্টাইন প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজের মুখপাত্র আমিনা আল-তাওয়াইল জানান, তারা তাদের দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত না খেয়ে থাকবে। তাদের কাছে অধিকার আদায়ের আর কোনও পথ নেই।’ তিনি বলেন, ‘যদিও এটা খুবই কঠিন। কিন্তু তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’
জেরুজালেম ভিত্তিক বন্দি অধিকার সংগঠন আদামিরের মতে, বর্তমানে ইসরায়েলে ৬ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি আটক রয়েছেন। এরমধ্যে ৫০০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বন্দিদের দাবি, আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলার জন্য টেলিফোনের ব্যবস্থা করতে হবে। মাসে অন্তত দুইবার আত্মীয়রা দেখা করতে আসতে পারবে, দেখা করার সময় বৃদ্ধি পাবে এবং আত্মীয়দের সঙ্গে ছবি তুলতে পারবে।
অনেক বন্দিরা স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভোগেন। তাদেরকে চিকিৎসা খরচ নিজে দিতে হলেও কোনও তাদের পরিচর্যা করা হয়না। অসুস্থ বন্দিদের পানি পর্যন্ত না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অধিদফতরের মতে, ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলের কারাগারে চিকিৎসার অভাবে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। আল তাওইল বলেন, চিকিৎসার এই অবহেলার অবসান চান তারা।
এছাড়া কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় বন্দিদের সঙ্গে বাজে আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বস্তা নামে একটি কালো গাড়িতে তাদের আদালকেত নিয়ে যাওয়া হয়। বন্দিরা দাবি করেছেন, গাড়িতে অন্ধকারে তাদেরকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কারাগারে এসি, স্বাস্থ্যসম্মত রান্নাঘরের ব্যবস্থা। একইসঙ্গে বন্দিদের সংবাদপত্র ও বই রাখার অনুমতি দেওয়া।
সূত্র: আল-জাজিরা
/এমএইচ/