X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাশালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ!

বিদেশ ডেস্ক
১৮ এপ্রিল ২০১৭, ২০:০১আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৫০
image

মাশাল খান পাকিস্তানে আবদুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ছাত্র মাশাল খানকে হত্যায় তার নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ষড়যন্ত্রেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দাবি করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক হওয়া একজন শিক্ষার্থী। মাশাল হত্যার ঘটনায় অন্য কয়েকজন সন্দেহভাজনের সঙ্গে আটক হন ওয়াজাহাত নামের ওই শিক্ষার্থী। তিনি পুলিশকে বলেছেন, আবদুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই তাকে মাশালের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত সাক্ষ্য দিতে বলেছিল। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন খবরটি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাশালকে হত্যা করা হয়। কেউ কেউ দাবি করছেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, তাকে কাঠের তক্তা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোমবার পুলিশকে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ওয়াজাহাত দাবি করেন, গত ১৩ এপ্রিল তাকে তাদের ক্লাস রিপ্রেজেন্টিটিভ মুদাসসির বশির বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের অফিসে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে চেয়ারম্যান তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনে মাশাল খানের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা বা ব্লাসফেমির সাক্ষ্য দিতে বলেন।

ওয়াজাহাত দাবি করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারাসহ ১৫-২০ জন মানুষ তখন চেয়ারম্যানের অফিসে ছিলেন।’ আটক ওয়াজাহাত আরও জানান, ‘তারা বৈঠকটি ডেকেছিলেন মাশালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, আর তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার সাক্ষী হতেই আমাকে ডেকেছিল বশির।’ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, মাশাল কোনও ধরণের ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা হিসেবে গণ্য হওয়ার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে এমন কোনও প্রমাণই পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও ওয়াজাহাত পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, মাশাল খান ধর্ম অবমাননা করেছিলেন।

ওয়াজাহাত পুলিশের কাছে দাবি করেন, মাশাল এবং তার সমর্থকদের বাঁচাতে যারা এগিয়ে আসবে তাদেরকে শক্ত হাতে সামলানোর কথা জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান বিলাল বকশ। তিনি মাশালকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন ওয়াজাহাত। জবানবন্দিতে ওয়াজাহাত আরও বলেন, তিনি যদি জানতেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাশালের বিরুদ্ধে কী ষড়যন্ত্র করেছে,তাহলে তিনি ওইদিন ক্যাম্পাসে যেতেন না।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সম্প্রতি মাশালের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার গুজব ছড়ানো হয়। গুজব সৃষ্টিকারীরা প্রচার করতে থাকেন, ধর্ম অবমাননা হলেও এ ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেই গুজবের জেরেই গণপিটুনিতে মাশালকে হত্যা করা হয়। গণপিটুনির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে। এ হত্যাকাণ্ডের পর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরই একজন সোমবার (১৭ এপ্রিল) পুলিশকে একটি বিবৃতি দেন। ওয়াজাহাত নামের ওই শিক্ষার্থী বিবৃতিতে স্বীকার করেন তিনিও মাশালের ওপর হামলাকারীদের দলে ছিলেন।

/এফইউ/বিএ/

 

সম্পর্কিত
মিয়ানমারে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহরে কোণঠাসা জান্তা
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
সর্বশেষ খবর
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন