বিরোধী দলীয় নেতার অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আড়াল করার দায়ে ৭ মিডিয়া প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ইকুয়েডর। দেশটির সংবাদমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘সুপারকম’ বলছে, ওই ৭ মিডিয়ার ভূমিকা জনস্বার্থবিরোধী। তাদেরকে ৩,৭৫০ ডলার সমমূল্যের জরিমানা করেছে সুপারকম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এ জরিমানা ১০ জন সাংবাদিকের মূল বেতনের সমপরিমাণ।
বিবিসি বলছে, একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আড়াল করায় এই জরিমানা করা হয়েছে। বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী গিলারমো লাসোর অফশোর ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছিল। গত মার্চে আর্জেন্টাইন একটি সংবাদমাধ্যমে সর্বপ্রথম ‘লাসো: দ্য অফশোর টাইকুন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। লাতিন আমেরিকা জুড়ে সাড়া ফেলে দেয় আলোচিত ওই প্রতিবেদন।
২ এপ্রিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন লাসো। প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ নিয়ে স্বভাবতই ইকুয়েডরের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে। তবে ওই সাতটি প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদনটিকে ব্ল্যাক আউট করে। তাদের ভূমিকাকে জনস্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে জরিমানা করেছে সুপারকম। এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করাটা সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব বলে উল্লেখ করে পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানটি।
জরিমানার আওতায় পড়া সাতটি সংবাদমাধ্যমের মধ্যে চারটি সংবাদপত্র এবং তিনটি টেলিভিশন চ্যানেল। সংবাদপত্রগুলো হলো- এল কমার্শিও, লা হোরা, এক্সপ্রেসো এবং এল ইউনিভারসো। আর টেলিভিশন চ্যানেল হলো-টেলিভিসেনট্রো, টেলিঅ্যামাজোনাস এবং ইকুয়েভিসা।
জরিমানা প্রসঙ্গে সুপারকমের সুপারিন্টেনডেন্ট কার্লোস ওচোয়া বলেন, এতে যেমন ওই সংবাদপ্রতিষ্ঠানগুলো সাজা ভোগ করবে, তেমনি করে এতে সাংবাদিকতা চর্চার উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
অবশ্য সুপারকমের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। সাজাকে অযৌক্তিক দাবি করে এল ইউনিভারসো সংবাদপত্রের আইনজীবী বিবিসিকে বলেন, এ সাজা বাতিলে সব ধরনের প্রশাসনিক ও বিচারিক পথ খোঁজা হচ্ছে।
/এফইউ/বিএ/