ফিলিস্তিনি রাজবন্দিদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। বন্দিদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে তারাও অনশন-ধর্মঘট শুরু করতে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলকে সমর্থনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ার করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে তাদের অনশন ধর্মঘট শুরুর কথা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।
ইসরায়েলে আটক ১৫০০ রাজনৈতিক বন্দি গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণঅনশন শুরু করেছেন। কারাগারে মৌলিক অধিকার আদায় ও মানবেতর পরিস্থিতি উন্নয়নের দাবিতে তারা এই অনশন শুরু করেন। আর এসব বন্দিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অনশন শুরুর ঘোষণা দেন ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির পাঁচ শিক্ষার্থী। তারা বলেন, ‘ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে ওই বন্দিদের সঙ্গে এক হয়েছি আমরা’।
মিডল ইস্ট মনিটরকে ওই শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র হুদা আমোরি জানান, ইসরায়েলকে সমর্থন ও সহায়তাকারী কোম্পানিগুলো বর্জন করতে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ তৈরির জন্য তারা আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের অনশন চলবে বলেও সতর্ক করেছেন তারা।
এদিকে মিডল ইস্ট মনিটরের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তথ্যের স্বাধীনতা (এফওআই) অধিকারবলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কোম্পানির নামের যে তালিকা চেয়েছে তা স্বাভাবিক প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে আমোরের দাবি, তথ্য চেয়ে তাদের করা আবেদনটি বিবেচনা করা হয়নি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলকে সমর্থনকারী কোম্পানিগুলো বর্জনের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অধিদফতরের মতে, ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলের কারাগারে চিকিৎসার অভাবে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। অনেক বন্দি স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় বন্দিদের সঙ্গে বাজে আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বস্তা নামে একটি কালো গাড়িতে তাদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। বন্দিরা দাবি করেছেন, ওই গাড়িতে অন্ধকারে তাদেরকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
/এফইউ/বিএ/