গত দুই বছরে মালয়েশিয়ার অভিবাসী আটককেন্দ্রে ১৪ বাংলাদেশি বন্দির মৃত্যু হয়েছে। মালয়েশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন সুহাকামের এক প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। এইসব প্রাণহানির নেপথ্যে এইচআইভি আর যক্ষাকেই কারণ হিসেবে দায়ী করেছে সংবাদভিত্তিক এক মালয়েশীয় ওয়েবসাইট। তবে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা এক মালয়েশীয় মানবাধিকার সংস্থা ওইসব মৃত্যুর ঘটনায় পরোক্ষে অনাহারকে দায়ী করেছে।
মালয়েশীয় সরকারের অভিযানে ধরা পড়া অবৈধ অভিবাসীদের আটককেন্দ্রে পাঠানো হয়। প্রক্রিয়া শেষে তাদের ফেরত পাঠানো হয় নিজ নিজ দেশে। অভিবাসীদের সহায়তাকারী সংগঠনগুলোর তথ্যকে উপজীব্য করে সুহাকামের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে মালয়েশিয়ার আটক শিবিরগুলোতে ১১৮ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৭৩ জনই অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিক। এছাড়া ২৩ জন ইন্দোনেশীয়, ১৪ জন বাংলাদেশি রয়েছে। বাকিরা অন্য দেশের নাগরিক।
সংবাদভিত্তিক মালয়েশীয় ওয়েবসাইট মালয়সিয়াকিনির দাবি, যক্ষ্মা এবং এইচআইভিজনিত জটিলতার মতো কিছু রোগ ও অসুস্থতাই এসব মৃত্যুর মূল কারণ। তবে আটককেন্দ্রগুলোতে অভিবাসীদের প্রতি ব্যাপক অমানবিক আচরণের অভিযোগ এনেছে মিয়ানমারের অভিবাসীদের সহায়তাকারী মালয়েশিয়াভিত্তিক সংগঠন মিয়ানমার মাইগ্রেন্টস এইড। সংগঠনের প্রধান উ শিত কং বলেন, ‘আটককেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতির ব্যাপারে আমাদের কাছে থাকা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বলতে পারি, আটককৃতদের সেখানে যথাযথ খাবার সরবরাহ করা হয় না।’
মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত মিয়ানমারের সকল স্বেচ্ছাসেবী ও সহায়তাকারী সংগঠনগুলো আটকেন্দ্রে থাকা মিয়ানমারের অভিবাসীদের সঙ্গে দেখা করারও সুযোগ পান না। মালয়েশিয়ার মিয়ানমার দূতাবাস আটককৃতদের সঙ্গে দেখা করার নিয়ে এসব সংগঠনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে।
/এফইউ/বিএ/