গত বছর জুলাইয়ে ব্যর্থ সেনা অভ্যূত্থান চেষ্টায় জড়িত কয়েকশ মানুষের গণবিচার শুরু হয়েছে তুরস্কে। সোমবার দেশটির রাজধানী আংকারার কাছের একটি এলাকায় এ বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
অভ্যূত্থান চেষ্টায় জড়িত অভিযোগে ২২১ জনের বিচার শুরু হয়েছে। এদের বেশিরভাগই সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। এর মধ্যে ২৭ জন সাবেক জেনারেল রয়েছেন। তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিচারের সময় তাদেরকে কোর্ট প্রাঙ্গনে একসঙ্গে যেতে বাধ্য করা হয়। এসময় সরকার সমর্থিতরা তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার দাবি জানান। তুরস্কের সংবিধানে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান না থাকায় সংবিধান সংশোধনেরও দাবি জানান এরদোয়ানপন্থীরা।
গণবিচারের প্রধান আসামি ছিলেন বিমানবাহিনীর সাবেক কমান্ডার জেনারেল আকিন ওজটুর্ক। বাকিরা তথাকথিত পিস অ্যাট হোম কাউন্সিলের সদস্য। এই গ্রুপের পক্ষ থেকেই টেলিভিশনে অভ্যূত্থানের ঘোষণা পাঠ করা হয়েছিল।
অভ্যূত্থান চেষ্টার মামলায় প্রধান আসামি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ফেতুল্লাহ গুলেন। তিনি অভ্যূত্থান চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৫ জুলাই অভ্যূত্থান চেষ্টায় তারা ২৫০জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছেন।
অভ্যূত্থান চেষ্টার পর তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তৃতীয় দফা মেয়াদ বৃদ্ধির পর এখনও জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।
এদিকে, ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন এরদোয়ান। তুরস্কের সংবিধানে প্রেসিডেন্ট হতে গেলে দলীয় পদ ছাড়ার আবশ্যিক বিধান জারি ছিল। দলীয় শীর্ষ পদ ধরে রাখতে তিনি সংবিধান পরির্তনে গণভোট আয়োজনের করেন। এপ্রিলের সেই গণভোটে বিজয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে জারি থাকা দলীয় নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে সমর্থ হন। এই পটভূমিতেই তিনি আবারও ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা নির্বাচিত হলেন। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/