যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ তদন্তে সাক্ষ্য দিতে মার্কিন সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির সমন প্রত্যাখ্যান করবেন হোয়াইট হাউসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। ফলে এ তদন্তে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানাবেন। সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ফ্লিনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এপি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ফক্স নিউজ জানিয়েছে, সাবেক এনএসএ উপদেষ্টা মার্কিন সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর দ্বারস্থ হবেন। এ অধিকার বলে তিনি সিনেটের সমন প্রত্যাখ্যান করবেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, রাশিয়া সংযোগ তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল সোমবার শেষ বেলায় সিনেট কমিটিকে তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।
সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ও রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের সংযোগের বিষয়ে কংগ্রেসনাল তদন্ত করছে। কমিটির পক্ষ থেকে ২৮ এপ্রিল একটি চিঠির মাধ্যমে কয়েকটি নথি চাওয়া হয়। তখন কমিটির অনুরোধে সহযোগিতা করছে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ফ্লিন।
নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি আলোচিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ, এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর তা নতুন করে মাথা চাড়া দেয়। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাম্প এফবিআই প্রধানকে বলেছিলেন বহিষ্কৃত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করতে। হোয়াইট হাউসের দাবি, কোমিকে তদন্তের বিষয়ে কোনও চাপ দেননি ট্রাম্প। তবে এসব ঘটনায় রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের সংযোগের বিষয়টি আরও জোরালো হয়ে উঠছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথোপকথনের জের ধরে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব অবহেলার অজুহাত দেখিয়ে ফ্লিনকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এরপর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্তে নামে এফবিআই ও সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি।
ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওবামা আমলে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা সরানোর বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তিনি ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের আগেই আলোচনা করেছিলেন। ফ্লিন তা করে থাকলে তবে তা হবে আইনের লঙ্ঘন। কেননা আইন অনুযায়ী, বেসরকারি নাগরিকদের পররাষ্ট্র নীতিমালাসংক্রান্ত কাজে জড়িত হওয়া নিষিদ্ধ।
পদত্যাগপত্রে ফ্লিন বলেছিলেন, তিনি অসাবধানতাবশত তৎকালীন নির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে আংশিকভাবে রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে তার কথোপকথন সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। সূত্র: রয়টার্স।
/এএ/