মধ্যপ্রাচ্যে চলমান কূটনৈতিক সংকট সমাধানে সবাইকে স্থায়ী কৌশল নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার অসলোতে বার্সিক শান্তি সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে শুধু এই বিষয়টি আমাদের অঞ্চলের সমাধান করা নয় বরং সবগুলো সমস্যা ও সহিংসতা বন্ধে কোন স্থায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।’
গত সপ্তাহে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরবসহ ৬ দেশ। এরপর এই সংকট সমাধানে এগিয়ে এসেছে কুয়েত ও তুরস্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও মধ্যপ্রাচ্যে ঐক্যের কথা বলেছে।
১৯৫৭ সালের হেলসিংকি চুক্তির কথা টেনে তিনি বলেন, ইউরোপে যদি স্নায়ুযুদ্ধের সমাধান হয়। তবে আরব দেশগুলোর মাঝেও এটা সম্ভব।’
৭ জুন ইরানে সন্ত্রাসী হামলার পর এজন সৌদি আরবকে দায়ী করা হলে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। আইএসের সেই হামলায় ১৭জন নিহত হয়েছিলেন।
জারিফ বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে যে সৌদি আরবের প্রত্যক্ষ সমর্থনের সন্ত্রাসীরা ইরানের পূর্বাঞ্চলে বেলুচিস্তানে কার্যক্রম চালাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশের জায়গা ব্যবহার করে তারা হামলা চালিয়েছে এবং ৯জন ইরানি সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রাণ হারিয়েছেন ‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীদের জায়গা ব্যবহার করে পশ্চিমাঞ্চলেও এমন কার্যক্রম চালাচ্ছে সৌদি আরব।’
গত বছর সৌদি আরবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ নিমরসহ ৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও বৈরীতায় রূপ নেয়। কিছুদিনের মথ্যে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। এরই ধারাবাহিকতায় তারা বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্নেরও ঘোষণা দেয়। সৌদি আরবের ধারাবাহিকতায় বাহরাইন, সুদান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছিল।
সূত্র: রয়টার্স
এমএইচ/