ব্রিটেনের ঐতিহ্য অনুয়ায়ী পার্লামেন্টের বাৎসরিক অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সরকারের পক্ষে পরবর্তী বছরের সরকারের নীতিমালা ও আইনের খসড়া উপস্থাপন করে থাকেন। রানির এ ভাষণকে ডাকা হয় ‘কুইন্স স্পিচ’ হিসেবে। তবে নাম ‘কুইন্স স্পিচ’ হলেও মূলত সরকারের তৈরি করা খসড়াই পাঠ করেন রানি।
ব্রিটেনের দীর্ঘদিনের সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বুধবার (২১ জনু) নতুন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে থেরেসা মে’র নেতৃত্বাধীন নতুন সংখ্যালঘু সরকারের পক্ষে আইনের খসড়া উপস্থাপন করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তবে এবার ঐতিহ্যবাহী এ কুইন্স স্পিচে কিছু ঐতিহ্য ভাঙতে দেখা গেছে।
সাধারণত রানি তার কুইন্স স্পিচে সরকারের পক্ষে পরবর্তী এক বছরের নীতিমালা ও আইনের খসড়া প্রস্তাব করে থাকেন। তবে এবার ব্রেক্সিট ইস্যুর সুরাহায় অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের করে আনার প্রক্রিয়া শেষ করতে দুই বছরের নীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যবার রানির সঙ্গে পার্লামেন্টে আসেন তার স্বামী এবং এডিনবার্গের ডিউক প্রিন্স ফিলিপ। মঙ্গলবার রাতে ফিলিপ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় বুধবার রানির সঙ্গে পার্লামেন্টে যান তার ছেলে ওয়েলসের প্রিন্স চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ।
এবার ঘোড়ার গাড়ির বদলে সাধারণ গাড়িতে করে রানিকে পার্লামেন্টে আসতে দেখা গেছে।
বুধবার পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রেও চিরাচরিত ধারা রক্ষা করেননি রানি। এদিন লম্বা আলখাল্লার বদলে তার পরনে ‘দৈনন্দিন পোশাক’ ছিল। তাছাড়া মাথায় মুকুটের বদলে হ্যাট পরতে দেখা গেছে তাকে।
রানির হাউস অব লর্ডসের চেম্বারে প্রবেশের সময় এবার রাজকীয় শোভাযাত্রা ছিল না।
/এফইউ/