নের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশে ভূমিধসের পর ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারা সবাই মাটির নিচে চাপা পড়েছেন। নিখোঁজদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেই ওই ভূমিধস; জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
চীনের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে ভূমিধস খুব পরিচিত বিষয়। বিশেষ করে ভারি বৃষ্টিপাতের সময় ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, লাগাতার ভারি বৃষ্টির জন্য এই ভূমিধস। পিপলস ডেইলি জানিয়েছে, ধসে ৪৬টি বাড়ি ভেঙে পড়ছে। উদ্ধারকারীরা দড়ির সাহায্যে বড় বড় পাথর সরানোর কাজ করছেন। একটি পরিবারের ৩জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। উদ্ধার তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক স্থানীয় কর্মকর্তা জানান, ওয়েনচুয়ান ভূমিকম্পের পর এটি এ এলাকার সবচেয়ে বড় ভূমিধসের ঘটনা। চীনের পিপলস ডেইলি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিতে কয়েকটি বুলডোজার দিয়ে মাটি ও বড় বড় বোল্ডার সরানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সিসিটিভি জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযানে পুলিশসহ ৪০০ উদ্ধারকারী নিয়োজিত রয়েছে।
বিবিসির শনিবারের (২৪ জুন) প্রতিবেদনে বলা হয়, মাওক্সিয়ান কাউন্টির শিনমো গ্রামে স্থানীয় সময় ভোর ৬ টার দিকে একটি পাহাড়ের কিছু অংশ ধসে পড়ে। এতে প্রায় ৪০টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ৪০০ মানুষ উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে উপস্থিত আছে। আরও কিছু অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মাওক্সিয়ান কাউন্টিতে ১,১০,০০০ মানুষ বাস করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, শিনমো গ্রামটি পর্যটন এলাকা হিসেবেও পরিচিত। তবে ভূমিধসের পর কোনও বিদেশি নাগরিক মাটিচাপা পড়েছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দেশটির হুবেই প্রদেশে অপর এক ভূমিধসের ঘটনায় একটি পর্বতের পাদদেশের একটি হোটেল ভবন ৩০০০ ঘনমিটার মাটি ও পাথরের নিচে চাপা পড়ে ১২ জন নিহত হয়েছিল।
/বিএ/