X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাতারবিরোধী অবরোধ ট্রাম্প প্রশাসনের 'অদ্ভূত পররাষ্ট্রনীতি'র ফসল

মিছবাহ পাটওয়ারী
২৯ জুন ২০১৭, ২৩:০৯আপডেট : ৩০ জুন ২০১৭, ০০:১২

সৌদি আরবের নেতৃত্বে চার আরব দেশ কর্তৃক কাতারবিরোধী অবরোধের ঘটনায় শুরু থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রথমেই কাতারকে একঘরে করার ঘটনায় ‘কৃতিত্ব’ দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিপরীতে মার্কিন প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যেই এর কঠোর সমালোচনা করা হয়।  শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্পের দাবি, তার সৌদি সফরের ফল আসতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, সৌদি সফরকালে অন্য মুসলিম দেশগুলো আমাকে জানিয়েছে,  কাতার ‘মৌলবাদী দর্শনে’ অর্থায়ন করছে। ৬ জুন মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সফরে আমি মৌলবাদী দর্শনে অর্থায়নের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। নেতারা কাতারের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেছেন, দেখুন!’ আরেক টুইটে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই চমৎকার যে, সৌদি সফরে দেশটির রাজা ও অর্ধশত দেশের নেতাদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ফল এরইমধ্যে আসতে শুরু করেছে। তারা বলেছে, উগ্রবাদী অর্থায়নের বিরুদ্ধে তারা কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এক্ষেত্রে সবকটি সূত্র কাতারকেই নির্দেশ করে। সম্ভবত, এটা হবে সন্ত্রাসের বিদায়ের সূচনালগ্ন।’

‘পাগলা কুকুর' খ্যাত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস সৌদি আরবের কাতার অবরোধের বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন। ম্যাটিসের জনসংযোগ বিষয়ক সহকারী ডানা হোয়াইট সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কাতারের প্রতি সমর্থনের রাশ টেনে ধরার কথাও বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। আল-ইউদেইদ নামের এ ঘাঁটিতে ১১ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। এখান থেকেই সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই কাতারের কাছে ১২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের কাতারবিরোধী অবরোধের কৃতিত্ব দাবির ছয়দিনের মাথায় দেশটির সঙ্গে এ সামরিক চুক্তিতে উপনীত হয় ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস এবং কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ আল আতিয়াহ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনায় সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারকে একঘরে করা দেশগুলোর তোপের মুখে পড়ে ট্রাম্প প্রশাসন।

রেক্স টিলারসন

এরমধ্যেই কাতারে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা জানিয়ে দেশটির ওপর থেকে অবরোধ শিথিলের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। টিলারসেন বলেন, একদিকে এটা মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করবে। অন্যদিকে তা সন্ত্রাস প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহাবস্থানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ‘যৌক্তিক’ ও ‘অভিযোগ্য’ আচরণ করার আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। ওই আহ্বানের পরপরই সৌদি জোট কাতারের কাছে ১৩ শর্তের একটি তালিকাটি প্রকাশ করে। ১০ দিনের মধ্যে কাতারকে এসব শর্ত পূরণের আল্টিমেটাম দেয় সৌদি জোট। শর্ত না মানলে দেশটিকে ‘একঘরে’ করার হুঁশিয়ারি দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ। তিনি বলেন, ‘এর কোনও বিকল্প নেই। বিকল্প একটাই, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। কারণ একসঙ্গে কাজ করাটা তখন খুবই কঠিন হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেদার নাউয়ের্ট। ২২ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমি মনে করি তারা (কাতারের প্রতিবেশীরা) খুব ভালো করেই জানে, কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা অভিযোগ্য!

প্রকৃতপক্ষে সংকট উত্তরণে উভয় পক্ষই যুক্তরাষ্ট্রের গাইডলাইন চাইছে। যদিও প্রত্যক্ষ গাইডলাইন খুব কমই সামনে এসেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হয়। উদাহরণস্বরূপ ওবামা প্রশাসনের সময়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সিরিয়া ইস্যুতে পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তক্ষেপ করা হতো না। অর্থাৎ, এ দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে নিজেকে জড়াতো না হোয়াইট হাউস। ওবামা প্রশাসনে খুব ক্ষেত্রেই সরকারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। তবে বর্তমানে এটা অনেকটা বিপজ্জনক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।

স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে সৌদি সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০১৭ সালের ২০ মে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব যান ট্রাম্প। ওই সফরে রিয়াদে তিনি রাজকীয় অভ্যর্থনা পান। ট্রাম্পের হাতে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা তুলে দেন সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ। সফরকালে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প সৌদি রাজার প্রশংসা করেন। ইরানের বিরুদ্ধে সুন্নি উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মূলত সৌদি রাজাকে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেন। ফলশ্রুতিতে সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ ঘোষণার পরই টুইটারে ট্রাম্পকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। তবে এ ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দেশটির প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের সঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্যে অমিল দেখা গেছে।

সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। সূত্রটি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের পরিবেশ বা আবহ সৌদি জোটের অনুকূলে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নয়। এটা আরব দেশগুলোর বিষয়। তবে তারা এখানে সৌদি জোটকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এরপর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর কাতারের সঙ্গে ১২শ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান বিক্রির চুক্তি করেছে। এটা ছিল এমন একটা চুক্তিতে যা পুরোপুরি আমাদের ভাবনার বিপরীত। এখানে হোয়াইট হাউস ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার অবস্থানে বড় ধরনের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে।

পেন্টাগন বলেছে, ১২০০ কোটি ডলারের এ অস্ত্র চুক্তি কাতারকে সামরিক খাতে অত্যাধুনিক সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করবে। পারস্পরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে এটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সৌদি জোটের অবরোধের পর কাতারি নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়াও চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির সঙ্গে যুক্ত সূত্রটি জানিয়েছে, দৃশ্যত কাতারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারের পররাষ্ট্র নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে এই পররাষ্ট্র নীতির বিরোধীতাও রয়েছে। এটা আসলেই অদ্ভূত। এটা অপ্রত্যাশিত।

কাতারবিরোধী অবরোধ ট্রাম্প প্রশাসনের 'অদ্ভূত পররাষ্ট্রনীতি'র ফসল

সরকারের নীতির ক্ষেত্রে এই বিপর্যয় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। চলতি সপ্তাহেই ওয়াশিংটন সফর করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো। ২০ জুন ২০১৭ মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অথচ এর একদিন আগে সোমবার যখন ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে কিয়েভ ত্যাগ করেন পোরোশেঙ্কো তখনও ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত ছিল না। তখন হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুধু মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সাক্ষাৎ করবেন। এমন ঘোষণা স্পষ্টতই রুশ আগ্রাসনের শিকার দেশটির জন্য তিরস্কারস্বরূপ।

পরে ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার-এর চাপের মুখে পোরোশেঙ্কো’র সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে অবস্থান বদল করে হোয়াইট হাউস। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে মত দেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের রুশ সম্পৃক্ততার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে রুশ সংযোগের অভিযোগ উঠে। এ ইস্যুতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা। পদত্যাগ করেন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। রুশ সংযোগ নিয়ে তদন্তের মুখে পড়েন ট্রাম্পের জামাতা এবং জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। এমনকি খোদ ট্রাম্প নিজেও এ ইস্যুতে তদন্তের মুখে রয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দেশজুড়ে ট্রাম্পের রুশ সংযোগ নিয়ে সমালোচনার মুখে এ থেকে রেহাই পেতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপচারিতাকে একটা উপলক্ষ হিসেবে নেওয়ার সুযোগ ছিল হোয়াইট হাউসের। তবে বাস্তবে তেমন কিছু ঘটেনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়া নিয়ে যেন মুখে আঠা লাগিয়েছিলেন ট্রাম্প। দেশটিতে রুশ আগ্রাসনের পক্ষ-বিপক্ষে কিছু একেবারেই নীরব ছিলেন। রুশ দখলদারিত্ব থেকে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার কথা যেমন বলেননি তেমনি রাশিয়ার এমন আচরণের সমালোচনাও করেননি। যেন অনেকটা বাধ্য হয়েই বলেছেন, ইউক্রেন এমন একটা দেশ যেখানে আমরা সবাই অনেক বেশি পরিমাণে জড়িত রয়েছি। আপনারা এটা দেখে আসছেন।

পেট্রো পোরোশেঙ্কো’র পেন্টাগনে উপস্থিতি দৃশ্যত একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে। সেটা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দেশটির সঙ্গে রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস পোরোশেঙ্কো’কে বলেছেন, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে-এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে আছি।

পেট্রো পোরোশেঙ্কো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প

ন্যাটোতে সাবেক মার্কিন দূত আইভো দালদার। বর্তমানে তিনি শিকাগো কাউন্সিলের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক প্রধান। আইভো দালদার বলেন, পররাষ্ট্র নীতিতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে পেন্টাগন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সাধনের দৃষ্টান্ত রয়েছে। নতুন করে এমন কী হলো যে, প্রেসিডেন্টকে তার অবস্থানের প্রতি এতটাই খোলামেলা হতে হবে! রাষ্ট্রীয় বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হয়। বিভিন্ন সংস্থা একমত হওয়ার পরই তা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এখানে সেটা ঘটছে না। নতুন করে এটাই ঘটছে।

টাফটস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি’র শিক্ষক ড্যানিয়েল ড্রেজনার। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বিদেশি অংশীদার বা প্রতিদ্বন্দ্বীদের ব্যাপারে এমন সমন্বয়হীনতা বিরল। এখানে যুক্তিসংগত নীতির প্রতিফলন দেখা যায়নি।

কাতার ইস্যুতে মধ্যস্থতায় নেতৃত্বদান থেকে কিছুটা দূরত্বে অবস্থান করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। ট্রাম্পও এ ইস্যুতে তার জ্বালাময়ী টুইট করা থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখেননি।

ড্যানিয়েল ড্রেজনার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কুশীলবরা যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, এক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনও জোরালো কণ্ঠস্বর নেই তাহলে সেটা একটা বাস্তব সমস্যা তৈরি করবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা, বিবিসি।

/এমপি/

সম্পর্কিত
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
সর্বশেষ খবর
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ