সংবিধান সংশোধনের ইস্যুতে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলগুলো নিজেরাই একটি গণভোটের আয়োজন করেছে। এই গণভোটে দেশটির নাগরিকরা ভোট দিয়ে তাদের মত জানাচ্ছেন। এমন এক সময় এই গণভোট হচ্ছে যখন ভেনেজুয়েলা এক গভীর রাজনৈতিক সংকটে পতিত।
সাবেক প্রেসিডেন্ট চ্যাভেজের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাতে থাকেন। মাদুরো জুলাই মাসের শেষ দিকে একটি জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছেন। বিরোধিরা এই প্রতিনিধি নির্বাচনের বিরোধিতা করে গণভোট আয়োজন করেছে। এতে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, ভোটাররা আসলেই একটি নতুন সংবিধান চান কিনা।
লাখ লাখ মানুষ গণভোটে এই বিষয়ে তাদের রায় দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সরকার এই গণভোটকে স্বীকৃতি দেয়নি। গণভোট পর্যবেক্ষণ করার জন্য শনিবার বেশ কয়েকজন সাবেক লাতিন আমেরিকান নেতা রাজধানী কারাকাসে এসেছেন। যেসব ভেনেজুয়েলান বিদেশে থাকেন তারাও ভোট দিতে পারবেন।
গত কয়েক মাস ধরেই ভেনেজুয়েলায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন শতাধিক ও আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার।
এ নির্বাচন অবশ্য পুরোপুরিই প্রতীকী। বিরোধী দল বলছে, এটার মাধ্যমে তারা জনগণের মতামত নিচ্ছে যে সরকারকে আসলেই সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে দেওয়া যায় কিনা।
সরকার একটি নতুন সংবিধান চাইছে। মাদুরোর মতে, দেশকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে টেনে তোলার এটাই একমাত্র উপায়। কিন্তু এ পরিকল্পনার ফলে ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর দাবি, এটা অগণতান্ত্রিক ও মাদুরো আসলে ক্ষমতা সংহত করতেই এটা করতে চাচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
/এএ/