কাতারের উপর আন্তর্জাতিক নজরদারির আহ্বান জানিয়েছে আমিরাত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী আনেয়ার গার্গাশ বলেন, ‘তাদের উপর আমাদের দেওয়া চাপ কাজ করছে। এখন তাদের উপর আন্তর্জাতিক নজরদারি প্রয়োজন যেন সন্ত্রাসবাদে তারা অর্থায়ন করতে না পারে।’
গত ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার। সম্পর্ক পুনর্গঠনে কাতারকে ১৩টি শর্ত বেঁধে দেয় সৌদি জোট। সেই শর্ত না মানায় কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকে।
আনোয়ার গার্গাশ বলেন, কাতারের উপর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি কাজ করতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকা কাতার যেন কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করতে না পারে। এজন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক নজরদারি।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারে সমঝোতা স্মারকটি ইতিবাচক অগ্রগতি। মধ্যপ্রাচ্য কূটনৈতিক সংকট সমাধানে তিনদিনের সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন। সেসময়ই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে কূটনৈতিক সংকট সমাধানে কোনওরকম অগ্রগতি হয়নি। এটি সমাধানে সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছেন কুয়েতের আমির। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আনোয়ার গার্গাশ বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের দেওয়া চাপ কাজ করতে শুরু করেছে। এই অবস্থা অনেকদিন ধরেই চলবে।’
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
/এমএইচ