ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েল হামাসকে আলোচনা প্রস্তাব দিয়েছে। গাজায় হামাসের কাছে বন্দি থাকা তিন ইসরায়েলি নাগরিকের বিনিময়ে অজ্ঞাত সংখ্যক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে বন্দি বিনিময়ের আলোচনার প্রস্তাবটি খারিজ করে দিয়েছে হামাস।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, ইসরায়েল অজ্ঞাত সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে আটক রেখেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন নারী, শিশু ও পার্লামেন্টের সদস্য। এসব বন্দিদের বিনাবিচারে ইসরায়েল আটক রেখেছে।
প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে হামাস জানিয়েছে, গিলাদ শালিত বন্দি বিনিময়ের পর যে ৫৫জন ফিলিস্তিনিকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া দখলদার বাহিনীর হাতে আটক বন্দিদের তথ্য দিতে হবে।
গাজা উপত্যকায় অভিযানের সময় তিন ইসরায়েলি সেনা হামাসের হাতে আটক হয়েছিলেন। এই তিন সেনা এবং ২০১৪ সালের অভিযানে নিহত দুই সেনার লাশও ফেরত চায় ইসরায়েল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল হামাসকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
লেবাননের দৈনিক পত্রিকা আল আখবার জানিয়েছে, মিসরের মধ্যস্ততায় এই বন্দি বিনিময়ের আলোচনা চলছে। আলোচনা সফল করতে মিসর নতুন প্রস্তাবও দিয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিনিধিত্বকারী মার্কিন আইনজীবী স্ট্যানলি কোহেন জানান, ইসরায়েল প্রায়ই নিজের স্বার্থ হাসিলের সুযোগ থাকলে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিহত সেনাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ চাপের মুখে রয়েছেন।
কোহেন বলেন, ইসরায়েলের এই আলোচনার প্রস্তাব ভালো উদ্দেশে নয়। কারণ ২০১১ সালে গিলাদ শালিত বন্দি বিনিময়ে মুক্ত হওয়াদের পুনরায় গ্রেফতার করেছে দেশটি। এর মধ্য দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। এর রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এটি ইসরায়েলের এক ধরনের খেলা। মানুষকে আটক করে পরে তাদের বিনিময় করা। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
/এএ/