সৌদি আরবসহ চার আরব প্রতিবেশী দেশের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের আমির। ৫ জুন সংকট শুরু হওয়ার পর প্রথম দেওয়া ভাষণে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, ‘যেকোনও সমাধানই কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।’
৫ জুন সন্ত্রাসবাদে মদত এবং ইরানের সঙ্গে মিত্রতার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। কিছুদিন পর দেশগুলো কাতারের কাছে কিছু দাবিও উত্থাপন করে।
সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার।
টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে কাতারের আমির দেশটির বিরুদ্ধে 'কলুষিত অপবাদের প্রচারণার' নিন্দা জানান এবং দেশটির জনগণের সহ্যশক্তির প্রশংসা করেন।
কাতারি আমির বলেন, ‘কাতারের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবেই চলছে। সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের দ্বন্দ্ব থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার সময় এসেছে।’
শেখ তামিম আরও বলেন, “আমরা আলোচনার মাধ্যমে যেকোনও অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী, যতক্ষণ পর্যন্ত কাতারের ‘সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা হবে’।”
চারটি আরব দেশের অবরোধের কারণে গ্যাসসমৃদ্ধ দেশ কাতার তাদের ২৭ লাখ মানুষের জন্য সমুদ্র এবং আকাশপথে খাদ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
/এএ/