সন্ত্রাসে অর্থায়নসহ সবরকম সমর্থন বন্ধে কাতারের নেওয়া সাম্প্রতিক অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই অবস্থান সৌদি জোটের সঙ্গে কাতারের চলমান কূটনৈতিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী বরিস জনসন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে বিভেদ দূর করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কাতারের আমির।
বৃহস্পতিবার কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কিউএনএ কাতারে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নতুন আইন প্রণয়নের খবর জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি জোটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এই আইন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাতারের আমির সে সময় জানান, সন্ত্রাস চিহ্নিতকরণ ও এর অর্থায়ন বন্ধ করতেই্ এই আইন। রবিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আমি কাতারের আমিরকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানাই। অবস্থান নিয়েছে কাতার।’
৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। সম্পর্ক পুনর্গঠনে ১৩টি শর্ত বেঁধে দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখান করে কাতার। ফলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখে সৌদি জোট। তবে কাতারের নেওয়া সর্বশেষ পদক্ষেপে কূটনৈতিক সংকট দূর হতে পারে বলে মনে করেন বরিস জনসন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে। কুয়েতের মধ্যস্থতার সমর্থন জানায় তারা। এই পদক্ষেপে সৌদি জোটও এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জনসন।
শুক্রবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি বলেন, সংলাপের মাধ্যমে তার দেশ সংকট সমাধানে প্রস্তুত। তিনি জানান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাতার লড়াই করে যাচ্ছে এবং কোনওরকম ছাড় দেবে না তারা।
/এমএইচ/বিএ/