জর্ডানের ইসরায়েলি দূতাবাসের হামলাকারীকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তেল আবিব সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই ইসরায়েলি দাবির কথা জানিয়েছে। ওই হামলাকারী জর্ডানের নাগরিক বলে জানিয়েছে তারা।
শনিবার মধ্যরাতে দেশটির রাজধানী আমান-এ ওই হামলা হয়। বিবিসির খবরে তেল আবিবের বিবৃতির সূত্রে বলা হয়েছে, হামলাকারী একজন কাঠমিস্ত্রী। দূতাবাস যে ভবনটিকে কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতো, সেখানে কাজ করেতন তিনি। আর নিহত দ্বিতীয় জর্ডানিয়ান ওই ভবনের মালিক। হামলায় এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছেন। হামলার পর তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে গিয়ে মারা যান জর্ডানের দু্ই নাগরিক।
ঠিক কী কারণে এই হামলা হয়েছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। হামলাকারীদের সম্পর্কেও এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, এখনও তদন্তের প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছেন তারা। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দূতাবাসের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জর্ডানের পূর্ব জেরুজালেমে মুসলিম ও ইহুদিদের পবিত্র স্থানে ইসরায়েল মেটাল ডিটেক্টর বসানোর ঘটনায় গত ২১ জুলাই আম্মানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে ফুঁ জানান। মুসলিমদের কাছে এই স্থানটি হারাম আল-শরীফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট হিসেবে পরিচিত।
জর্ডানের ৭০ লাখ জনগণের অনেকেই ফিলিস্তিনি। ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম (বাবা-মা কিংবা দাদা-দাদী) জর্ডানের পালিয়ে আসেন। এরপর সেখানেই বসবাস শুরু হয় তাদের। আল-আকসায় মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে নিতে পারেনি অনেক জর্ডানিয়ান। তাই শুক্রবার রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ।
/এমএইচ/বিএ/