জর্ডানের ইসরায়েলি দূতাবাসে ‘হামলাকারী’ সন্দেহে দুই জর্ডানিকে হত্যাকারী ইসরায়েলি সেনার ‘কূটনৈতিক দায়মুক্তি’ রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। জর্ডান এই সেনাকে দেশত্যাগে অনুমতি না দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবার মধ্যরাতে রাজধানী আম্মান-এ দূতাবাসের নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে নিহত ১৭ বছরের দুই কিশোর। মোহাম্মেদ জাওয়াদেহ ও বাশার হামারনেহ নামের এই দুই কিশোর ডাক্তারি পড়ছিলেন। তারা দূতাবাসের একটি আবাসিক ভবনে বাস করতেন। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে দূতাবাসে হামলার অভিযোগে ইসরায়েলি নিরাপত্তারক্ষী তাদের গুলি করে হত্যা করে।
আল আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর বসানো ও ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই জর্ডানে এই ঘটনা ঘটেছে। জর্ডানের পক্ষ থেকে মেটাল ডিটেক্টর প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেক জর্ডানি ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছেন।
জর্ডানি পুলিশ জানিয়েছে, হামলার দূতাবাস সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং সন্ত্রাসদমন বাহিনীর কয়েক ডজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জর্ডানের ৭০ লাখ জনগণের অনেকেই ফিলিস্তিনি। ১৯৪৮ সালে তাদের বাবা-মা কিংবা দাদা-দাদী জর্ডানের পালিয়ে আসেন। এরপর সেখানেই বসবাস শুরু হয় তাদের। আল-আকসায় মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে নিতে পারেনি অনেক জর্ডানিয়ান। তাই শুক্রবার রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
/এএ/