X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাতার সংকটের নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর রাজপরিবারগুলোর বিরোধ

আরশাদ আলী
২৬ জুলাই ২০১৭, ২০:৪৫আপডেট : ২৭ জুলাই ২০১৭, ০৯:৩৮

উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক সংকটে মধ্যপ্রাচ্যকে কলুষিত করছে। মুখোমুখি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড় করিয়েছে বিত্তশালী ও প্রভাবশালী আরবের শেখদের। ফিকে হয়ে পড়েছে কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা। কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ নিছক রাজনৈতিক নয়, এর নেপথ্যে রয়েছে আরবের রাজ পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের পুরনো ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের পৃথক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর  কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এতে করে কাতার জল, স্থল ও আকাশপথে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগে সৌদি নেতৃত্বের অভিযোগে এ অবরোধ আরোপ করা হয় কাতারের বিরুদ্ধে।  যদিও কাতার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপেও সংকট মীমাংসার দিকে আগায়নি।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বহুধাবিভক্ত। এখানে রাজা নির্বাচিত হন উত্তরাধিকাসূত্রে এবং আনুগত্যের ভিত্তিতে। যে আনুগত্য অনেক সময় সুবিধা ও অর্থের বিনিময়ে অর্জিত হয়। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সিংহাসনে বসার বিষয়টি সব সময়ই  দ্বন্দ্বপূর্ণ থাকে। আর সিংহাসন লাভের বিষয়টি হয়ে ওঠে বিপজ্জনক।

উপসাগরীয় অঞ্চলের কূটনীতিকরা বলছেন, সংকটটির সমাধান সম্ভব নয়। কারণ এটি কেবল রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগতও। এ অঞ্চলের এক উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সূত্র  জানায়, সৌদি, আমিরাত ও কাতারি শাসকদের পারিবারিক ও উত্তরাধিকার সম্পর্ক রয়েছে। তারা একে অপরের অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ। এর অর্থ হচ্ছে বড় ধরনের রাজনৈতিক ইস্যু মানে সেগুলো পারিবারিকও হয়ে পড়ে। ফলে এসব ইস্যু সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যখন সৌদি ও আমিরাতিরা শাসকের পরিবর্তন চায়।

কাতার সংকটের নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর রাজপরিবারগুলোর বিরোধ

সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব

কাগজে-কলমে কাতারের বর্তমান শাসক আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। ২৭ বছরের হামাদ সাবেক আমির শেখ হামাদের ছেলে। ২০১৩ সালে তামিম বিন হামাদের কাছে শাসনভার হস্তান্তর করেন শেখ হামাদ। ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের এক প্রভাবশালী বিশ্লেষক সিমন হেন্ডারসন কিছুদিন আগে লিখেছেন, আমিরের বাবা হিসেবে পরিচিত সাবেক আমির হামাদ এখনও সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই এই ধারণা বিদ্যমান।

বেশ কিছু ক্ষেত্রেই কাতারের ইতিবাচক চিত্র গড়ে তুলেছেন হামাদ। প্রথম সৌদি আরবের বিরোধিতায় নামেন হামাদ ৩০ বছর আগে। যখন তিনি উপসাগরীয় যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক ব্রিগেড সেনা নিয়ে হাজির হন। হামাদ ব্রিগেডের সেনারা ছিলেন ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জোট সেনাদের প্রথম সেনা। ১৯৯১ সালে খাফজি যুদ্ধে জড়ায় হামাদ ব্রিগেডের সেনা। পরে সৌদি আরবের সেনারাও জোটের হয়ে যুদ্ধে যোগ দেয়। মার্কিন নৌবাহিনী সৌদি সেনাদের রক্ষায় নিয়োজিত হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র কাতারের সেনারা দুর্ঘটনাবশত সৌদি আরবের সেনাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে।

যুদ্ধের সময় সংকটটি দ্রুত সমাধান হয়ে গেলেও এই ঘটনার রেশ দীর্ঘয়িত হতে থাকে। বিশেষ করে যখন হামাদ সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পান এবং যুদ্ধের নায়ক হিসেবে আখ্যায়িত হতে থাকেন। তিনি রিয়াদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে থাকেন। ১৯৯২ সালে সীমান্ত বিরোধের সময় তিনি বলেন, ‘বন্দুকের নল দিয়েই তারা জবাব দেবেন’।

পরে শেখ হামাদ যখন তার বাবা খলিফাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তখন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। তখন থেকেই উপসাগরীয় অঞ্চলে সংহতি বিনাশী হিসেবে পরিচিতি পান হামাদ। শেখ হামাদ প্রতিষ্ঠা করেন আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি আল জাজিরা আরবের দেশগুলোতে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। আল জাজিরার এ ভূমিকা মানতে পারেনি অনেক আরব সরকার। বিশেষ করে সৌদি আরব কখনও এটা মানতে পারেনি।

অনেকেই মনে করছেন, চলমান এই সংকটের শেকড় রয়েছে পুরনো এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কূটনৈতিক সূত্র একমত হয়ে জানায়, “সৌদি ও আমিরাতিরা কাতারের এখনকার আমিরকে বলেছেন, ‘তোমার বাবাকে আমাদের কাছে তুলে দাও’। তারা বর্তমান আমিরের বাবার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন। ছেলে হিসেবে কাতারের আমির এটা কিভাবে মেনে নেবেন?”

বেশ কয়েকটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মাধ্যমে কাতারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতো সৌদি আরব। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো আতিয়াহ পরিবার। যাদের সঙ্গে সৌদি আরবের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। হামাদকে ক্ষমতায় আনতে শুধু আল-থানি পরিবার ভূমিকা রেখেছিল এমন নয়, এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল তার এক মামার যিনি একজন আতিয়াহ।

কিন্তু আতিয়াহ পরিবারের কোনও মেয়েকে বিয়ে করে সৌদিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার পথে যাননি হামাদ। তিনি থানি পরিবারের দুই প্রভাবশালী আত্মীয়ের মেয়েকে বিয়ে করেন। তবে হামাদের প্রিয় স্ত্রী এবং বর্তমান আমিরের মা শেখ মোজাহকেই শুধু প্রকাশ্যে দেখা যেত। শেখ মোজাহ বৈপ্লবিক চেতনার বলে পরিচিত। তার বাবা যিনি ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ সম্পদে সুষম বন্টনের দাবি করায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। হামাদের বাবাই তাকে কারাগারে পাঠান।

কাতারের রাজ পরিবার হামাদের সবচেয়ে প্রভাবশালী উপদেষ্টা হামাদ বিন জসিম কোনও আতিয়াহ পরিবার থেকে আসেননি, তিনি একজন থানি। যা ছিল কাতারের চিরাচরিত রীতিবিরোধী। বিন জসিম মনে করেন, রাজনৈতিক ইসলামের উপর নির্ভরতার ফলে ছোট্ট দেশ কাতারের স্থিতিশীলতা দীর্ঘমেয়াদে নষ্ট হতে পারে। যা উপসাগরীয় দেশগুলোর অবস্থানের পরিপন্থী।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতা গ্রহণের পরই সৌদি আরবের প্রভাবমুক্ত কাতার গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন শেখ হামাদ। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্র বিজ্ঞানী মার্ক লিঞ্চ শেখ হামাদের দর্শন তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রয়োজন না হলে কেন সৌদি আরবের কর্তৃত্ব মেনে নেব।

মার্ক লিঞ্চের মতে, সৌদি আরবের রাজপরিবারের চেয়ে নিজেকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে কাতারি আমিরের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও রয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৯০ দশকের শেষ দিকে কাতারের পররাষ্ট্রনীতি ছিল মূলত:  অঞ্চলে আমরা (কাতার) কি করতে পারি এবং সৌদিকে খেপিয়ে তুলতে আমরা কি করতে পারি।

এ পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কাতার ইরান ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি নির্মিত হয়ে দেশটিতে। স্বভাবতই এসব পদক্ষেপ ছিল সৌদি আরবের কর্তৃত্ব থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য।

কাতারের অনেকেই দেশটির পররাষ্ট্রনীতির নিন্দা করেছেন। সাবেক এক কাতারি রাষ্ট্রদূত ফায়াজ আল-আতিয়াহ কর্মরত অবস্থার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, কাতারের পররাষ্ট্রনীতি অগ্রসর পথ না নিয়ে বরং পিছিয়ে পড়ত। কখনও কখনও হয়ে যেত একঘরে। কারণ এটা ছিল ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের সম্পুরক আর কৌশল হিসেবে বেপরোয়া। স্বভাবতই কাতারের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা নিশ্চিত ছিল।

  সৌদি রাজার সঙ্গে আমিরাতের শাসক

ওয়াহাবি মতবাদ নিয়ে সৌদ-থানি পরিবার দ্বন্দ্ব

থানি ও আতিয়াহ পরিবারের মধ্যে বিয়ের বন্ধনে সম্পৃক্ত এক সূত্র জানায়, সৌদ ও থানিদের মধ্যে বিরোধের নেপথ্য কারণ এটাই। থানি ও সৌদ পরিবারের উৎপত্তি উপসাগরীয়  নাজদ অঞ্চল থেকে। এই অঞ্চল থেকেই আধুনিক ওয়াহাবি মতবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পরিবারের পক্ষ থেকেই নিজেদের ওয়াহাবি মতবাদকে সঠিক বলে দাবি করা হয়।

কাতারে নারীরা গাড়ি চালাতে পারেন কিন্তু সৌদি আরবে পারেন না। কাতারে নামাজের সময় দোকানপাট বন্ধ রাখতে কোনও ধর্মীয় পুলিশের ব্যবস্থা নেই। এসব ছাড়িয়ে হামাদ দাবি করেছেন, থানিরা আল-ওয়াহাব পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সৌদি আরব আধুনিক ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল-ওয়াহাবকে নেতা হিসেবে সৌদিরা মনে করে। ফলে হামাদের এই দাবি ছিল সৌদিদের জন্য অপমানজনক।

‘কাতার: রাইজ টু পাওয়ার অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্স’ গ্রন্থের লেখক ও অ্যাকাডেমিক আ্যালেক ফ্রমহার্জ বলেন, ‘কাতার নিজেকে সত্যিকার অর্থেই উপকূলীয় অঞ্চলে ওয়াহাবি মতবাদের দাবিদার মনে করে। মরু অঞ্চলে যে ওয়াহাবি মতবাদ প্রচলিত সে তুলনায় কাতারের মতবাদ অনেকটাই শিথিল। শেখ হামাদ আল-ওয়াহাবের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে ওয়াহাবি মতবাদের এই ভিন্ন সংস্করণকে বৈধতা দিতে চাইছেন। একই সঙ্গে যারা দাবি করে, কাতারির সত্যিকার অর্থে ওয়াহাবি মতবাদে বিশ্বাস করে না তাদেরকে নিরস্ত্র করাও হামাদের লক্ষ্য। সৌদিদের চেয়ে বড় পথে ও দ্রুত আগাতে চান শেখ হামাদ।’

শেখ হামাদ

শেখ আহমদকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে আমিরাতের সঙ্গে কাতারের দ্বন্দ্ব

সংকটের আরেকটি কারণ হিসেবে শেখ হামাদের প্রকাশ্যে গণতন্ত্রকে সমর্থন করাও হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘কেউ যদি নিজ দেশের উন্নয়ন চায় তাহলে গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে। এটাই বিশ্বাস করি আমি।’  অবশ্য হামাদ নিজের এই অবস্থান কাতারের ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে পারেননি। ২০১৩ সালে সংসদ নির্বাচন আয়োজন না করেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

শেখ হামাদের গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থণ ক্ষুব্ধ করেছে আরব আমিরাতের যুবরাজ ও ডি ফ্যাক্টো শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানকে। কাতার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা করে আসছিলেন তিনি। উইকিলিকসের ফাঁস হওয়া একটি নথিতে দেখা যায়, ২০০৯ সালে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলছেন, ‘কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডেরই একটি অংশ’।

কাতার রাজ পরিবারের রাজনীতিতে সমর্থনের মধ্য দিয়ে প্রায়ই হস্তক্ষেপ করেছে আরব আমিরাত। ব্রিটেনের উপসাগরীয় অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণার পর কাতারকে নিজেদের অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে ষাটের দশকের শেষ দিকে সেখানে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে তারা। তবে আমিরাতকে একটি ফেডারেশন বানিয়ে কাতারকে তার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হয় কাতারের আমির শেখ আহমদকে। শিকারের জন্য ইরানে থাকা অবস্থায় শেখ খলিফা দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

ক্ষমতাচ্যুতির পর শেখ আহমেদ দুবাইয়ে বসবাস শুরু করেন এবং স্থানীয় দুই ধনাঢ্য আমিরের মেয়েকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই থানি পরিবারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশেষ করে হামাদের বাবাকে আমিরাতে অবস্থানের অনুমতি দিয়ে। দুবাইয়ে অবস্থান করে শেখ আহমেদ বেশ কয়েকটি অভ্যূত্থানের চেষ্টা করেন যা ব্যর্থ হয়।

এবারের সংকটটির শুরুটাও সাজানো হতে পারে, এমন আভাস দিয়েছে গার্ডিয়ান। ১ জুন সৌদি সমর্থক একটি পত্রিকা একটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করে। ওই খবরকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শেখ আহমদের উত্তরসূরীরা কাতারের বর্তমান শাসকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। অথচ ওই শাসককে তারা স্বীকৃতি দেন না।তবে কাতারের রাজপ্রাসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দাবি করেছে, এটা আরব আমিরাতের গোয়েন্দা সংস্থা সরবরাহ করা ভুয়া খবর ছিল। যদিও আরব আমিরাত হ্যাকিং ও ভুয়া খবর প্রকাশে নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

কাতারি সূত্রটি জানায়, কয়েকজন শেখ ও পরিবারের সদস্য কাতারে আমিরাতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে ভূমিকা পালন করলেও নিজেদের আড়ালে রাখতে চান।  ওই সূত্র ইঙ্গিত দেয়, অতীতে যারা অভ্যূত্থানের চেষ্টা করেছেন তাদের পরিণতি ভয়াবহ হয়েছিল। ২০০১ সালে হামাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে কয়েকজন থানিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

সূত্রটি আরও জানায়, চলমান সংকটে শেখ আহমদের পরিবার নীরব রয়েছে। কেউই কিছু বলছে না।

/বিএ/

সম্পর্কিত
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
সর্বশেষ খবর
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন