পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় দলগুলো নওয়াজ শরিফকে সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রিত্বের অযোগ্য ঘোষণা করার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তার দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)। নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম জানিয়েছেন, এই রায়ের ফলে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন তার বাবা। আর ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালতের রায়ে অযোগ্য ও পদত্যাগ করলেও নওয়াজের পাশেই থাকবে দল।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ লিখেছেন, আরেকজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরানো হলো। কিন্তু আমরা মনে করি তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন যতদ্রুত সম্ভব।
টুইটে মরিয়ম দলকে অটল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
মরিয়ম আরও লিখেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের জয়ের পথ নির্ধারিত হলো। তাকে আর ঠেকানো যাবে না। ইনশাল্লাহ, যদি পারো তাহলে ঠেকাও।
পাঞ্জাবের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দলের জন্য এটা কঠিন সময়। কিন্তু দল নওয়াজ শরিফের সঙ্গেই থাকবে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব রায়ের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নওয়াজের কোনও পদের প্রয়োজন নেই। তিনিই বাস্তবতা। সেই দিন আর বেশি দেরি নেই যেদিন তিনি চতুর্থবার নির্বাচিত হবেন।
আওরঙ্গজেব আরও বলেন, আদালতে অনেক সিদ্ধান্ত হয়, মানুষের আদালতেও কিছু সিদ্ধান্ত থাকে। আমরা হয়ত একটি সিদ্ধান্তে হেরেছি। এতে অবাক হইনি কিন্তু মর্মাহত। পিএমএল-এন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। দলটির রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রাজনৈতিক কর্মী। ইতিহাসি স্বাক্ষী যখনই নওয়াজকে বেআইনিভাবে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে পাকিস্তানের জনগণ আরও বেশি ভোট দিয়ে তাকে ক্ষমতায় এনেছেন।
রায়ের বিস্তারিত জানার পর দলের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে বলে জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৮ জুলাই) পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি মামলায় নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন।
এর আগে বিচারপতি আসিফ সাইদ খোসার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে রায় ঘোষণা করেন। সর্বোচ্চ আদালত বলছে, পার্লামেন্ট এবং আদালতের প্রতি সৎ ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী, তিনি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। আমিরাতভিত্তিক অফশোর কোম্পানি এফজেডই-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা গোপন করার কারণে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার খানিক বাদেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়। জারিকৃত নোটিতে বলা যায়, সর্বোচ্চ আদালতের রায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে তিনি পদত্যাগ করেছেন। সূত্র: ডন।
/এএ/