লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পাঁচদিন পর সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে ভিডিওটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংঘর্ষের ঘটনা সংঘটিত হয় ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, ওইদিন পানগং লেকের তীর দিয়ে চীনা সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, দুই দেশের কিছুসংখ্যক সেনা সদস্য এক জায়গায় জড়ো হয়ে একে অপরকে ঘুষি ও লাথি মারছেন এবং পাথর ছুড়ছেন।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানায়, ওইদিন ইন্দো-তিব্বতিয়ান সীমান্তে ভারতের ২৪ জন পুলিশ সদস্য এবং প্রায় ৩৬ জন সেনা সদস্য ছিলেন। চীনা সেনা সদস্যদের সংখ্যাও একইরকমই ছিল।
উল্লেখ্য, এমনিতেই দোকলাম নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধংদেহী অবস্থান। সেখানে চীনা সেনাবাহিনীর একটি রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয় ভারতীয় সেনারা। এ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে সেখানে দু’দেশের সেনারা। চীন বার বার বলছে, দোকলাম থেকে একতরফাভাবে নিজ দেশের সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে ভারতকে। যদি তা করা না হয় তাহলে উত্তেজনা আরো বাড়বে। ওদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ভারতকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, সীমান্ত ইস্যুতে ১৯৬২ সালে যে যুদ্ধ হয়েছিল তার চেয়ে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে ভারতকে।
লাদাখের ক্ষেত্রেও একই বাস্তবতা। ওই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে ভারত ও চীন উভয়েই। ফিঙ্গার ফোরে চীন একটি সড়ক নির্মাণ করেছে, যা দুই দেশের সীমারেখা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। পানগং হৃদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় টহলের জন্য ব্যবহার করে থাকে চীন। এই হৃদের ৪৫ কিলোমিটার পাড় ভারতের এবং ৯০ কিলোমিটার পাড় চীনের মধ্যে পড়েছে। এই হৃদকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
/এফইউ/