X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পই রিপাবলিকানদের আশা, হতাশাও

বিদেশ ডেস্ক
২১ আগস্ট ২০১৭, ২৩:৪৫আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৭, ২৩:৪৫

কনফেডারেট জেনারেলের ভাস্কর্য অপসারণ নিয়ে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কের মুখে পড়েছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণের পর ট্রাম্পের সমালোচনা শুরু হয়েছে রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকেও। শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে মোটা দাগে রিপাবলিকান শিবির দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষ ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন এই বলে যে, তিনি তার ভোটারদের মতকেই ধারণ করছেন। আর সমালোচক অংশ বলছেন  ট্রাম্পের এমন অবস্থানের কারণেই রিপাবলিকানদের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন ব্যহত হচ্ছে।

ট্রাম্পই রিপাবলিকানদের আশা, হতাশাও

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সৃষ্ট শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও  বর্ণবাদবিরোধীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা ও সমালোচনা যখন চলছিল তখন ১৭ দিনের ছুটিতে ছিলেন ট্রাম্প। ছুটিতে থাকলেও বিষয়টি নিয়ে নিজের মন্তব্য টুইটারে পোস্ট করেছেন। সেগুলো বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে। আর ছুটি শেষেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়েই প্রশ্নের মুখোমুখি পড়তে হয় ট্রাম্পকে। মুখোমুখি হয়েই পাল্টা সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অনেক পরিশ্রমের পর ওয়াশিংটনে ফিরে আসলাম। তবে এই সময়ে আমি সাংবাদিকতার নিকৃষ্ট উদাহরণ দেখলাম। অনেক ভুয়া খবর প্রকাশ করছেন সাংবাদিকরা।

শার্লটসভিল নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সব পক্ষেরই দোষ আছে’। এরপর আরও বেশি সমালোচনা শুরু হয়। শহরটিতে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও বর্ণবাদবিরোধীদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছিলেন।

আর মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘বামপন্থীরা ডানপন্থীদের উপর হামলা চালায়। তাদের কি কোনও অনুশোচনাবোধ আছে? তারা হাতে লাঠি নিয়ে আন্দোলনে এসেছিল।’ তিনি  আরও বলেন, ‘তাদের কি কোনও সমস্যা ছিল? আমার মনে হয় ছিল। দিনটি খুবই ভয়ংকর ছিল।’

ট্রাম্পের এই মন্তব্য স্পষ্টতই শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে তার অবস্থান ব্যক্ত করেছে। এ নিয়ে রিপাবলিকান দলের নেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। প্রশংসা করেছেন উগ্র ডানপন্থী কু ক্লাক্স ক্ল্যান (কেকেকে) নেতা ডেভিড ডিউক। সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবালিকানরা। এমনকি মিট রমনিও প্রেসিডেন্টকে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন।

ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও হোয়াইট হাউসের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে ঘনিষ্ট মিত্র টেনেসির সিনেটর বব কর্কার। তিনিই সবচেয়ে তীক্ষ্ণ সমালোচনা করেছেন ট্রাম্পের। এই সিনেটর ঘোষণা দিয়েছেন যে, প্রেসিডেন্ট এখন পর্যন্ত স্থিতিশীলতার প্রমাণ দেননি অথবা সংকট মোকাবিলার জন্য যে যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া দরকার তা দেখাতে পারেননি।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নিজের অবস্থান ব্যক্ত করার পর কর্কারের এই মন্তব্য প্রায় সমর্থন করেছেন ২০ জনের বেশি রিপাবলিকান কর্মকর্তা। আবার অনেকেই কোনোরকম দ্বিধা ছাড়াই ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন। দক্ষিণ ক্যারোলিনার গভর্নর হেনরি ম্যাক মাস্টার ছিলেন ট্রাম্পকে সমর্থনকারীদের একজন। তিনি জানান, গর্বের সঙ্গেই ট্রাম্পের পক্ষে দাঁড়াবেন তিনি। বামপন্থীদের নেতিবাচক আক্রমণের মুখেও ট্রাম্প সফল হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন হেনরি।

তবে অন্যরা বলছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রেসিডেন্ট ও দলের মধ্যকার জটিল সম্পর্ককে বদলে দিয়েছে। ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান দলের কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী ক্লারেন্স মিঙ্গো বলেন,  দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সামর্থ্য প্রেসিডেন্টের ছিল বলে আমার মনে হয়নি। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রেসিডেন্টের পক্ষে দাঁড়াতে আগ্রহী ছিলাম। এখন অনেক ভালো ভালো রক্ষণশীল নীতি সংকটে পড়েছে, উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। এসব কিছুই ঘটেছে মৌলিক ইস্যুতে তার (ট্রাম্প) সঠিক কথা বলতে ও করতে না পারায়।

ছুটি কাটিয়ে ফিরছেন ট্রাম্প

কেন্টাকির রিপাবলিকান সিনেটর হুইটনি ওয়াস্টারফিন্ড শার্লটেসভাইলের ঘটনায়  ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘ভুলের চেয়ে বেশি’ কিছু বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যা বলছেন তা বিশ্বাস করেন বলেই মনে হচ্ছে। এটিই আমার উদ্বেগের কারণ।’

রিপাবলিকান স্টাব্লিশমেন্টের সমালোচনার পরও অতীতে টিকে গেছেন ট্রাম্প। বিশেষ করে নির্বাচনি প্রচারণার শেষ দিকে যৌন হয়রানিমূলক নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে ট্রাম্পের কাছ থেকে দূরে সরে যান রিপাবলিকানরা। এদের অনেকেই পরে ট্রাম্পকে ভোট দেন এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পাশে এসে দাঁড়ান।

অনেক রিপাবলিকান নেতা মনে করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে জিওপির সমন্বয়ের উদ্যোগ ভেস্তে গেছে মূলত রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। প্রেসিডেন্ট এখনও নিজের একান্ত সমর্থকদের আনুগত্য চান। যদিও সর্বশেষ কয়েকটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, এই ক্ষেত্রটি দুর্বল হয়ে আসছে। এছাড়া ট্রাম্পের ধরণ সব সময় বিতর্কিত। তবে অনেক বক্তব্যই তার ভোটারদের বিশ্বাসের সঙ্গে খাপ খায়। যেমন শারলটেসভাইলে কনফেডারেট ভাস্কর্য রক্ষায় ট্রাম্পের সমর্থন।

পশ্চিম উইসকনসিনের এক ছোটখাটো ব্যবসায়ী ব্রায়ান ওয়েস্ট্রেট রিপাবলিকান দলের ৩য় কংগ্রেসনাল কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি জানান, দীর্ঘদিন আগেই সমর্থকরা ট্রাম্পের প্রচলিত রীতিবিরোধী প্রেসিডেন্সি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্রায়ান বলেন, আমি মনে করি না নির্বাচনের আগে ও এখনকার পরিস্থিতিতে এই অবস্থার কোনও পরিবর্তন এসেছে। প্রেসিডেন্ট এখনও আগের মতোই আছেন, অকৌশলী ও অযাচিত সময়ে কথা বলেন। যিনি টুইটার খুব বেশি ব্যবহার করেন। এটি নতুন কিছু নয়। প্রেসিডেন্ট এখনও আগের সেই ব্যক্তি আছে আগে যেমন ছিলেন।

অনেক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা গোপনে কংগ্রেসনাল রিপাবলিকানদের সমর্থন কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে সিনেটের পরিস্থিতির ক্ষেত্রে। কারণ রিপাবলিকান সিনেটররা স্বাস্থ্যসেবা বিল পাস করতে ৫০টি ভোট জড়ো করতে পারেননি। শরতজুড়ে এই পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। এই সময়ে রিপাবলিকানরা ট্যাক্স কোড সংস্কার করার জন্য কাজ করছেন। ২০১৭ সালে দলের পক্ষে বড় কোনও আইন পাস করার শেষ প্রচেষ্টা হতে পারে এটি।

সাউথ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান সিনেটর টম ডেভিস জানান, ট্রাম্প সংকটময় এইমুহূর্ত পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারেন। কারণ তিনি এমন নীতি তৈরির চেষ্টা করছেন যা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে। তবে ডেভিস মনে করেন, ট্রাম্প নিজেই খুব বেশি অগ্রগতি না হওয়ার অন্যতম কারণ।  

প্রবীণ রিপাবলিকান কৌশলবিদ মাইক মার্ফি ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিওপি প্রার্থীতা প্রত্যাশী জেব বুশের হয়ে কাজ করেছিলেন। তিনি জানান, যে কয়জন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সুযোগ কাজে লাগানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন শার্লটেসভাইল বিক্ষোভের পর তা স্থিমিত হয়ে গেছে। মার্ফি বলেন, অনেক নেতা মনে করেছিলেন ম্যাককনেল ও পল রায়ানকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন। তবে এখন তাদের মনোভাবে এই উচ্চাশার জায়গায় গভীর হতাশা স্থান নিয়েছে।

এমন সংকট মুহূর্তে ট্রাম্পের  ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অনেকেই পদত্যাগ করছেন বা বরখাস্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার প্রধান কৌশলী স্টিভ ব্যাননকে বরখাস্ত করার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। এর একদিন পর ব্যাননের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, ব্রেইটবার্টের দৃঢ় ও বুদ্ধিমান কণ্ঠস্বর হবেন ব্যানন। ট্রাম্প আরও বলেছেন, ভুয়া খবরের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া প্রয়োজন!

বরখাস্তের একদিন পর ব্যাননের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প

হোয়াইট হাউস থেকে ব্যাননের বরখাস্তের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে সেগুলো মোকাবিলার কৌশল হিসেবেই ব্যাননকে হোয়াইট হাউস থেকে সরানো হয়েছে। সাবেক ব্রেইটবার্ট সম্পাদক ব্যাননের শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাদীদের প্রবল জনপ্রিয়তা রয়েছে। ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞা ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে তার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়।

বরখাস্তের পর ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যাননও জানিয়েছেন প্রশাসনে বিভক্তির কথা। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, কোন পথে আগানো হবে এ নিয়ে কোনও প্রশাসনেই নিজেদের এমন বিভক্তি ছিল না।

কয়েকজন রিপাবলিকান নেতার অবস্থান পরিস্থিতি আরও জটিল করছে ট্রাম্পের জন্য। যদিও এখন পর্যন্ত দলটিতে ট্রাম্পকে নিয়ে সন্দেহের জায়গাটি ফিসফিসানিতে, ব্যক্তিগত আলাপে সীমাবদ্ধ রয়েছে। প্রেসিডেন্টের অনুগত সমর্থক ও দীর্ঘদিনের দলের নীতি বাস্তবায়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তাদের মধ্যে কাজ করছে। ফলে প্রকাশ্যে তারা ট্রাম্পের বিরোধিতায় মাঠে নামছেন না। তবে তারা উদ্বিগ্ন।

ট্রাম্পকে নিয়ে রিপাবলিকানদের বিভক্তি বিষয়টি কয়েকদিন আগে উঠে আসে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের এক প্রতিবেদনে। স্বনামধন্য থিংক ট্যাংকটি জানায়, অন্তত ১২ জন রিপাবলিকান সিনেটর এখন আর প্রেসিডেন্টকে কোনও ভয় পান না। তারা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে ভোট দিবেন। ফলে সিনেটের আর ৬ জন সদস্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেই উচ্চকক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অপসারণে আর কোনও বাধা থাকবে না। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

/এমএইচ/এএ/
সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা