কিউবায় মার্কিন দূতাবাসে ১৬ জন কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কারও মাথা ব্যাথা কেউবা কানে কম শুনছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দাবি, ‘তরঙ্গ ব্যবহার’ করে হামলার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একুস্টিক হামলা বা তরঙ্গ হামলার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এর আগেও দূতাবাস কর্মীদের লক্ষ্য করে এমন হামলা চালানো হয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হেদার নুরেট বলেন, এই হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। অনেককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সন্দেহ যে, কিউবার গোয়েন্দা সংস্থা হয়তো এমন কোনো যন্ত্র সেইসব কর্মকর্তার বাসায় বা কর্মস্থলের কাছাকাছি ব্যবহার করেছিল যার কারণে তাদের এমন শ্রবণ সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সেসব যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ প্রবাহ হয়ে এমন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
নুরেট বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে ১৬ জন কর্মী এই সমস্যায় আক্রান্ত।
তবে কিউবা থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে কিউবায় থাকা মার্কিন দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা কানে কম শুনতে থাকেন। তাদেরকে তখন জোর করেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎনা করা হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্সটিলারসন একে স্বাস্থ্যজনিত হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনায় একজন কানাডিয়ানও আক্রান্ত হয়েছেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও কিউবা এই বিষয়ে পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনও তৃতীয়পক্ষও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় বৈরীতার পর কিউবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হতে শুরু করেছিলো। কিন্তু তার দুই বছরের মধ্যেই আবার সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। ২০১৫ সালে নতুন করে যাত্রা শুরু করা কিউবার দূতাবাস থেকে দুই কূটনৈতিককে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।