X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

৪০০ সাধুর লিঙ্গচ্ছেদ করে দাসীদের পাহারায় লাগিয়েছিলেন রাম রহিম

বিদেশ ডেস্ক
২৯ আগস্ট ২০১৭, ০৬:৫০আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৭, ১২:৩৭
image

 ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ডেরা সাচা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিমের। ভারতীয় স্বঘোষিত এই ‘বাবা’র ডেরায় আরও কি ভয়ংকর ঘটনা ঘটতো সেই তথ্য ‍তুলে উঠে এসেছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে।  নারী ধর্ষণ, হত্যাসহ পুরুষদের লিঙ্গচ্ছেদের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

৪০০ সাধুর লিঙ্গচ্ছেদ করে দাসীদের পাহারায় লাগিয়েছিলেন রাম রহিম

‘পিতাজি কি মাফি’ অর্থাৎ বাবার ক্ষমা নামে একটি সেশন করাতেন রাম রহিম। সেই অনুযায়ী একটি গোপন গুহাতে নিয়ে যাওয়া হতো অনুসারীদের। সেখানে অন্তত দুইজনের হত্যার কথা শোনা যায়। এমএসজি: মেসেঞ্জার অফ গড নামের বিতর্কিত ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে অভিযোগ উঠে ডেরার আশ্রমে প্রায় ৪০০ পুরুষের জোর করে লিঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে।

এমন নির্যাতনের শিকার হান্সরাজ চৌহান নামে এক যুবক। তিনি বলেন, ২০০০ সালে ১৯ বছর বয়সে সেখানে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। পেপসির সঙ্গে তাকে ড্রাগ দেওয়া হয়। দুইদিন ধরে অচেতন হয়ে ছিলেন তিনি। জেগে উঠার পর নিজের পুরুষাঙ্গে ব্যান্ডেজ পরিহিত দেখেন। এরপর বিগত ১৭ বছরে তিনি যেকোনও শারীরিক সম্পর্কে সক্ষম ছিলেন না।

আর এই বিষয়ে আরও শত শত অনুসারীর সঙ্গে হয়েছে। যাদের ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হয়েছিলো। জেগে উঠার পর এমন পরিণতি দেখেছেন অনেকেই। তাদের বোঝানো হয়েছে এর মাধ্যমে ইশ্বরের আরও কাছে পৌঁছতে পারবেন তারা। বর্তমানে এসব অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে সিবিআই।

ডেরায় এতকিছু হয়ে গেলেও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কোনও নারী ধর্ষণের শিকার হলে তাকে আবেগ দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। পুরুষের নির্যাতনে ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে অন্য ব্যবস্থা। মাদক ও ওষুধ প্রয়োগে বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো তাদের মুখ। ওষুধের কারণে নিজেদের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিলো না তাদের। হারিয়ে ফেলেছিলেন মানসিক ভারসাম্য।

আশ্রমে নারীরা কোনওরকম মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারতেন না। ছিলো না কোনও সংবাদপত্রের ব্যবস্থাও।  এমন কড়া ব্যবস্থা থাকলেও এখানে থাকা-খাওয়ার কোনও খরচ ছিলো না। আশ্রমে তৈরি সবজি ও দুধ বিক্রি করে তাদের খরচ যোগাড় করা হতো।  কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হতো সেখানকার ফুলকপি।

এছাড়া রাম রহিমের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে আগে। ২০০২ সালের নভেম্বরে রাম রহিমের বিরুদ্ধে ৫৩ বছরের এক সাংবাদিককে হত্যার অভিযোগ উঠে। পুরা সাচ (পুরোই সত্য) নামের একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ওই সাংবাদিক। মামলাটি এখনও সিবিআই’র বিশেষ আদালতে রয়েছে। ২০০৭ সালের মে মাসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ ওঠে রাম রহিমের বিরুদ্ধে। পাঞ্জাবের গুরু গোবিন্দ সিংকে অনুকরণ করে পোশাক পরিধানের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।

২০১০ সালে ডেরার এক সাবেক কর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠে। সিবিআই-র প্রতিবেদনে এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সূত্র: হাফিংটন পোস্ট

/এমএইচ

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
সর্বশেষ খবর
কুকি চিনকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা: নুর
কুকি চিনকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা: নুর
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী