যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে আরেক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ক্রসবি এলাকার একটি রাসায়নিক চুল্লিতে দুটি বিস্ফোরণের পর এ বিপর্যয় দেখা দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এরইমধ্যে রাসায়নিকগুলো প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ওই রাসায়নিক চুল্লিতে আরও বিস্ফোরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাসায়নিক চুল্লিটির আশেপাশে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, রাসায়নিক চুল্লিটি চালাতো আন্তর্জাতিক রাসায়নিক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আরকেমা। কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার (৩০ আগস্ট) রাত প্রায় দুইটা নাগাদ হারিস কাউন্টি ইমারজেন্সি অপারেশন্স সেন্টারে দুটি বিস্ফোরণ হয় এবং কালো ধোঁয়া দেখা যায়।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হার্ভে আঘাত হানার কারণে গত শুক্রবার চুল্লিটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাসায়নিকগুলো নিরাপদ রাখার জন্য ১১ কর্মীকে সেখানে রেখে দেওয়া হয়। সোমবার রাতে রাসায়নিক চুল্লিটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার ওই কর্মীদেরকে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।
আরকেমা্ কর্তৃপক্ষ, ক্রিসবি এলাকার বাসিন্দাদেরকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেন, ‘আমরা স্থানীয়দের সাবধান করে বলতে চাই, রাসায়নিক সাইটটির বিভিন্ন জায়গায় রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষিত আছে এবং আরও বিস্ফোরণের হুমকি থেকে যাচ্ছে। বিপজ্জনক এলাকার আশেপাশে না আসার জন্য তাদের অনুরোধ করছি।’
এরইমধ্যে রাসায়নিক ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাউন্টি শেরিফের এক ডেপুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাছাড়া পূর্ব সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) লুইজিয়ানায় আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে হারিকেন হার্ভে। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে বন্যা কবলিত হয়ে টেক্সাসের ৩২ হাজার বাসিন্দা ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ঝড়টির কারণে প্রাণ হারাতে হয়েছে ৩৫ জনকে।