মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তাদের রহস্যজনক চালকহীন মহাকাশ বিমান এক্স-৩৭বি অরবিটাল টেস্ট ভেহিক্যাল বা ওটিভি উৎক্ষেপণ করা হবে। চলতি মাসের ৭ তারিখে এটি উৎক্ষেপণ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে পঞ্চম দফা মহাকাশ যাত্রা করবে এক্স-৩৭বি। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক নিউজের খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা নাসা ১৯৯৯ সালে প্রথম এক্স-৩৭ তৈরি করেছিল। মহাকাশ খেয়া হিসেবে একে তৈরি করা হয়। প্রয়োজনে কক্ষপথে স্থাপন করা যাবে এবং কাজ শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসবে অর্থাৎ বারবার ব্যবহারের উপযোগী করে মহাকাশ খেয়া হিসেবে একে বানানো হয়। ইউএস মিলিটারি নিউজের খবর অনুযায়ী, এই প্রথম বারের মতো ইলন মাস্কের স্পেস এক্স ফ্যালকন ৯ রকেট থেকে এটি মহাকাশে ছোঁড়া হবে বলে মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে।
২০০৬ সালে নিজেদের ব্যবহার উপযোগী এক্স-৩৭বি তৈরির ঘোষণা দেয় মার্কিন বিমান বাহিনী। তখন থেকে এটি দিয়ে যেসব প্রকল্প বা মিশনের কাজ করা হয়েছে তার বেশিরভাগই গোপন রাখা হয়েছে। মহাকাশভিত্তিক অস্ত্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বা গোয়েন্দা উপগ্রহের কাজে একে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জল্পনা-কল্পনা চলছে।
এক্স-৩৭বি প্রথম পাঠানো হয়েছিল ২০১০ সালে এবং ২২৪ দিন কক্ষপথে অবস্থানের পর তা পৃথিবীতে ফিরে আসে। এরপর আরো তিন দফা এক্স-৩৭বিকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে এবং কাজ শেষে তা ফিরেও এসেছে। প্রতিবারই ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ বিমান ঘাঁটিতে এটি অবতরণ করেছে।
পঞ্চম দফা অর্থাৎ শেষবার এটি মহাকাশে টানা ৭১৮ দিন অর্থাৎ প্রায় দু’বছর অবস্থানের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এরপর এক্স-৩৭বি গত মে মাসে আমেরিকায় ফিরে আসে। এটি সে সময়ে প্রথমবারের মতো অবতরণ করে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে। অবতরণের সময় এর সৃষ্ট 'সনিক বুম' নামে পরিচিত প্রচণ্ড শব্দে অনেকেই চমকে ওঠেন।
মহাকাশ যাত্রায় কি ধরণের পে লোড বা মালামাল বহন করে বা পৃথিবীর কক্ষে দীর্ঘ অবস্থানকালে এটি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় তা সযত্নে গোপন রাখে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, চালকহীন বিমানটি ২৯ ফুট লম্বা আর উচ্চতায় ৯.৫ ফুট। ওজন ৪ হাজার ৯শ' ৮৯ কেজি।
