X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুরোপুরি জনশূন্য ১৭৬ রোহিঙ্গা গ্রাম: মিয়ানমার

বিদেশ ডেস্ক
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৪আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:১৯

পুরোপুরি জনশূন্য ১৭৬ রোহিঙ্গা গ্রাম: মিয়ানমার মিয়ানমারের চলমান রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জাও হাতা জানিয়েছেন, তার দেশের ১৭৬টি রোহিঙ্গা গ্রাম এখন পুরোপুরি জনশূন্য। এটা মিয়ানমারের মোট রোহিঙ্গা গ্রামের ৪০ শতাংশ। এছাড়া অন্তত ৩৪টি গ্রাম প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

চলতি বছরের আগস্টে ৪৭১টি রোহিঙ্গা গ্রামকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন্স’ শুরু করে বর্মী সেনারা। এর মধ্যে ১৭৬টি গ্রামেই এখন আর কোনও রোহিঙ্গার অস্তিত্ব নেই। সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে এদের অধিকাংশই বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। লোকচক্ষুর অন্তরালে বন-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।

এদিকে মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থীদের অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান বাংলাদেশে কর্মরত ৪০টি দেশের কূটনীতিকরা। এ সময় তারা নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের গ্রামগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর উদ্যোগে বুধবার যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূত কক্সবাজারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। সকালে তারা কক্সবাজারে পৌঁছানোর পরে তাদের উখিয়া উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা নো ম্যানস ল্যান্ডে অপেক্ষারত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন।

দুপুর দেড়টার দিকে কূটনীতিকরা যখন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ শেষ করে গাড়িতে উঠছিলেন ঠিক তখনই নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে কূটনীতিকদের গাড়ি বহর থামিয়ে তাদেরকে এ দৃশ্য দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতি চাক্ষুষ দেখে অবাক ও হতভম্ব হয়ে পড়েন তারা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনেককেই এ দৃশ্যের ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে দেখা যায়।

এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অপপ্রচারের চেষ্টা করছে যে, রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাওয়ার সময়ে নিজেরাই নিজেদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের পৃষ্ঠপোষক মিডিয়া হাউজ ইলেভেন একাধিক ছবিসহ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জো টো টুইটারে এক পোস্টে বলেন, ‘এটি বাঙালিদের ফটো। তারা নিজেদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে।’

বিবিসি’র জোনাথন হেড সম্প্রতি সরকারিভাবে রাখাইনে সফর করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। একজন ভিক্ষু জানান, মুসলিমরা তাদের নিজেদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। এমন কয়েকটি ছবিও আমাদের দেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, টুপি পরা একজন ব্যক্তি ঘরে আগুন দিচ্ছেন। তার পাশেই একজন নারী তলোয়ার উঁচিয়ে নাটকীয় ভঙ্গি করছেন। পরে আমি ওই নারীকে একটি হিন্দু ক্যাম্পে দেখতে পাই। সেখানে তিনি উত্তেজিতভাবে বলছিলেন, রোহিঙ্গারা তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি।

/এমপি/
সম্পর্কিত
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
স্বার্থে আঘাত করলে কঠোর জবাব দেবে ইরান: রাইসি
সীমান্ত শহরে জান্তার হামলা প্রতিহতের দাবি মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের
সর্বশেষ খবর
‘সেফ জোনে’ ২৩ নাবিক, নিরাপত্তায় ইতালির যুদ্ধ জাহাজ
‘সেফ জোনে’ ২৩ নাবিক, নিরাপত্তায় ইতালির যুদ্ধ জাহাজ
‘আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪’
‘আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪’
টিভিতে আজকের খেলা (১৮ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৮ এপ্রিল, ২০২৪)
আর্সেনালকে হতাশায় ভাসিয়ে সেমিফাইনালে বায়ার্ন
চ্যাম্পিয়নস লিগআর্সেনালকে হতাশায় ভাসিয়ে সেমিফাইনালে বায়ার্ন
সর্বাধিক পঠিত
‘ভুয়া ৮ হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে’
‘ভুয়া ৮ হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে’
হজ নিয়ে শঙ্কা, ধর্ম মন্ত্রণালয়কে ‍দুষছে হাব
হজ নিয়ে শঙ্কা, ধর্ম মন্ত্রণালয়কে ‍দুষছে হাব
এএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
রেস্তোরাঁয় ‘মদ না পেয়ে’ হামলার অভিযোগএএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
এবার নায়িকার দেশে ‘রাজকুমার’ 
এবার নায়িকার দেশে ‘রাজকুমার’ 
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫