X
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
২৩ বৈশাখ ১৪৩২

শান্তি চুক্তির ২০ বছর পরও জমির জন্য আক্রান্ত হচ্ছেন আদিবাসীরা

বিদেশ ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:২৭আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৯

শান্তি চুক্তির ২০ বছর পরও জমির জন্য আক্রান্ত হচ্ছেন আদিবাসীরা সরকার পার্বত্য এলাকায় পাহাড়িদের জমি পুনরুদ্ধারে ২০ বছর আগে সম্পাদিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন পাহাড়ি অ্যাক্টিভিস্টরা। তারা বলছেন, এখনও ভূমির লড়াই অব্যাহত রাখতে হয়েছে পাহাড়িদের। পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী এবং জাতিগত বিদ্বেষের শিকার জনগোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে অ্যাকটিভিস্টরা অভিযোগ করেন, তাদের ভূমির লড়াই থামেনি। নানা রকমের নাটক সাজিয়ে বাঙালি সেটেলাররা তাদের ভূমির ওপর দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ পাহাড়ি ওই জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী বলে মানতে নারাজ। সরকার মনে করে, দেশে কোনও আদিবাসী নেই। 

ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনে ওই এলাকাকে একটি সুরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভাজনের পর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিশেষ বিধানগুলো লঘু বা দুর্বল হয়ে পড়ে। একটি সশস্ত্র সংঘাতের পর, বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ওই চুক্তি ভূমির ওপর পাহাড়িদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রদান করে।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের ব্যাপ্তি ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। এ এলাকায় ডজনখানেক আদিবাসী গোষ্ঠীর প্রায় পাঁচ লাখ পাহাড়ির বসবাস।

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এ অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে এখানকার কাঠ এবং বাঁশের কথা উল্লেখযোগ্য। এই এলাকায় তেল অনুসন্ধানের সম্ভাবনাগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখানে গত কয়েক দশক ধরেই সহিংস জাতিগত সংঘাতের দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। এর ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। তাদের ফেলে যাওয়া ভূমির দখল নেয় বাঙালি সেটেলাররা।

সরকার তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্পৃক্ততাসহ তাদের নিজস্ব প্রথা ও সংস্কৃতির স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

চলতি বছরের জুনের গোড়ার দিকে রাঙ্গামাটির মানিকজোড় ছড়া গ্রামে যখন আগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে সে সময় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন রিপন চাকমা’র অশীতিপর মা-বাবা। রিপন চাকমা’র মা-বাবা বেঁচে গেলেও গুনামালা চাকমা নামের এক বয়স্ক প্রতিবেশী মারা যান কাদামাটির তৈরি ঘরে জ্বালিয়ে দেওয়া আগুনে।

পুলিশ বলছে, রাঙ্গামাটর লংগদুতে বাঙ্গালি সেটেলাররা আদিবাসী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর দুই শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করেছে। চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে এখানেই সর্বোচ্চ সংখ্যক জাতিগত সংখ্যালঘুর বসবাস।

প্রতিবেশী জেলা খাগড়াছড়ি সংলগ্ন দিঘীনালা রোডের কাছে এক বাঙ্গালির মরদেহ পাওয়ার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের জন্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করেন বাঙ্গালি সেটেলাররা। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাহাড়িরা। তারা বলছেন, অগ্নিসংযোগ ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাদের পাহাড় থেকে উচ্ছেদের ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে।

স্থানীয় বেসকারি সংস্থা তৃণমূল-এর নির্বাহি পরিচালক রিপন চাকমা বলেন, ‘এর সবাই সাজানো নাটক। ভূমি দখলের জন্যই এসব করা হচ্ছে। অন্যথ্যায় কেন তারা দীঘিনালার একটি মৃত্যুর জন্য লংগদুতে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে?’ সূত্র: রয়টার্স।

/এমপি/বিএ/
সম্পর্কিত
বুধবার ভারতজুড়ে যুদ্ধকালীন ‘মক ড্রিল’
আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হুমকি বন্ধ করা: চীন
দিল্লির লালকেল্লার মালিকানা দাবিতে আদালতে মুঘল বংশধর সুলতানা
সর্বশেষ খবর
নারীদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
নারীদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
অসুস্থ মাকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে ডা. জুবাইদা রহমান
অসুস্থ মাকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে ডা. জুবাইদা রহমান
তরুণদের রাজনীতিতে আরও বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
তরুণদের রাজনীতিতে আরও বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
তিন দিন পর ভোলার সব রুটে বাস চলাচল শুরু
তিন দিন পর ভোলার সব রুটে বাস চলাচল শুরু
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকে আরও একটি অধিদফতর হচ্ছে
প্রাথমিকে আরও একটি অধিদফতর হচ্ছে
চেম্বার থেকে নারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় এনে মারধর
চেম্বার থেকে নারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় এনে মারধর
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের চাপে আওয়ামীপন্থি ৬ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের চাপে আওয়ামীপন্থি ৬ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন, দুই শনিবার খোলা থাকবে অফিস
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন, দুই শনিবার খোলা থাকবে অফিস
আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক শেষ, কিস্তি ছাড়ে কী সিদ্ধান্ত হলো?
আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক শেষ, কিস্তি ছাড়ে কী সিদ্ধান্ত হলো?