X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১
রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ

মিয়ানমার সেনাদের প্রশিক্ষণ স্থগিতের ঘোষণা যুক্তরাজ্যের

বিদেশ ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:৫৫আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৮

মিয়ানমার সেনাদের প্রশিক্ষণ স্থগিতের ঘোষণা যুক্তরাজ্যের মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। এ ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাদের প্রশিক্ষণ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
থেরেসা মে বলেন, রাখাইন রাজ্যে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সব ধরনের কার্যক্রমের বন্ধ থাকবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বার্মায় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, জীবন বাঁচাতে বহু অসহায় মানুষকে আমরা পালাতে দেখেছি। অং সান সু চি এবং বর্মী সরকারকে সামরিক পদক্ষেপ থামানোর বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

থেরেসা মে বলেন, ব্রিটিশ সরকার আজ ঘোষণা দিচ্ছে যে, বার্মিজ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমরা সব ধরনের যোগাযোগ ও প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দিতে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা ইস্যুর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে সহিংসতা ওই দেশের মর্যাদার জন্য একটি কালো দাগ। আগামীতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার নিয়ে আলোচনা হলে অবাক হওয়া কিছু থাকবে না।

সোমবার মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশসহ প্রায় দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী বরিস জনসন জাতিসংঘে একটি অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।

বরিস জনসন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি মধ্যাহ্ন সভার আয়োজন করেন। যেখানে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বরিস জনসন বলেন, ‘যদিও গত কয়েক বছরে মিয়ানমার গণগন্ত্রের পথে উৎসাহব্যঞ্জক উন্নতি করেছে। কিন্তু রাখাইনে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সহিংসতা দেশটির মর্যাদার ওপর একটি কালো দাগ। আমি বারবার বলেছি মিয়ানমারে কেউ সামরিক সরকার দেখতে চায়না। এজন্য অং সান সুচি এবং তার বেসামরিক সরকারকে এ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা জরুরি। আমরা মিয়ানমার সরকারের কথা শুনেছি। এখন রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে কার্যক্রম দেখতে চাই।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এমপি/
সম্পর্কিত
মিয়ানমারে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহরে কোণঠাসা জান্তা
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
সর্বশেষ খবর
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
ইরান হামলা বন্ধ করলেও ছায়াশক্তিরা সক্রিয়
ইরান হামলা বন্ধ করলেও ছায়াশক্তিরা সক্রিয়
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!