X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাখাইনে বাবার সামনে রোহিঙ্গা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

বিদেশ ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:০০আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৩১

রাখাইনে বাবার সামনে রোহিঙ্গা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের হত্যা, শিশুদের জবাই আর নারীদের ধর্ষণ করছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং লুটতরাজ চালাচ্ছে।’ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)-এর কর্মকর্তা জন ম্যাককিসিক-এর এমন বক্তব্যেই যেন উঠে এসেছে দেশটির রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার এমন দুর্বিষহ চিত্র। চোখের সামনে নিজ কন্যাকে বর্মী সেনাদের হাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হতে দেখেছেন মোহাম্মদ কাসিম নামের এক রোহিঙ্গা বাবা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’কে তিনি জানিয়েছেন সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা।

মোহাম্মদ কাসিম জানান, চোখের সামনেই তার কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে সেনাসদস্যরা। বাধা দিতে গেলে উত্তপ্ত ছুরি দিয়ে তার উরুতে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। সেনাদের অত্যাচারের মুখে এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

কন্যার ওপর সেনাদের নির্মম পাশবিকতা প্রত্যক্ষ করা মোহাম্মদ কাসিমের জানা নেই তার স্ত্রী ও অন্য সন্তানরা কোথায় আছে। এক সময় রাখাইন রাজ্যে নিজের গাড়ি-বাড়ি সবই ছিল তার। অথচ আজ সব হারানো এক নিঃস্ব শরণার্থী মোহাম্মদ কাসিম। তার ঠিকানা এখন কক্সবাজার জেলার উখিয়ার এক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

মোহাম্মদ কাসিম একা নন। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন চার লক্ষাধিক মানুষ। তাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে দুর্বিষহ যন্ত্রণার আলাদা আলাদা গল্প। বর্মী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর মগ সন্ত্রাসীদের খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের বহু প্রত্যক্ষদর্শীর দেখা মিলবে সব হারিয়ে দেশান্তরী হওয়া এই শরণার্থীদের মধ্যে।

রাখাইনে বাবার সামনে রোহিঙ্গা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীদের একটা বড় অংশ বর্মী সেনাবাহিনীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর কাউকে হত্যা করা হয়েছে। কাউকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখেছে সেনারা। শেষ পর্যন্ত যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন তারাও লোকলজ্জার ভয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা।

উখিয়ায় হাজেরা বেগম (ছদ্মনাম) নামের একজন রোহিঙ্গা নারী বলেন, ‘নির্যাতনের পর আমার মতো অনেক নারীই চিকিৎসা নিতে চেয়েছে। বিশেষ করে যাতে করে গর্ভধারণের ঝুঁকিমুক্ত থাকা যায় সেজন্য ওষুধ পর্যন্ত চেয়েছে। কিন্তু পাইনি। আমি নির্যাতনের পরও প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু অনেক মেয়ে আছে যাদের ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।’

২৫ আগস্টের পর যত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তার একটা বড় অংশ নারী এবং শিশু। পুরুষদের বড় অংশই সেনাদের হাতে খুন হয়েছেন বলে জানান তারা। এই নারীরা বলছেন, পুরুষরা যেমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তেমনি নারীরা শিকার হয়েছে যৌন সন্ত্রাসের। সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি।

/এমপি/
সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
সর্বশেষ খবর
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘আর্টিফিশিয়াল রেইন’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘আর্টিফিশিয়াল রেইন’ পরিকল্পনা
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
পিএসজির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলো মোনাকো
পিএসজির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলো মোনাকো
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি