বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক উইলিয়াম লেসি সুইংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্তী শেখ হাসিনা। বুধবার নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী নিজ হোটেলে আইওএম মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানান। বার্তা সংস্থা ইউএনবির বরাত দিয়ে ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
পররাষ্ট্র সচিব এম. শহিদুল হক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাদের (রোহিঙ্গা) মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে হবে, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করুন যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।
আইওএম মহাপরিচালক রোহিঙ্গাদে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং সংস্থাটির পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত করেন। উইলিয়াম প্রধানমন্ত্রীকে আরও জানান যে ৫-৬ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিণিধি মাসুদ বিন মোমেন জানান, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পার্শ্ববৈঠক হিসেবে এস্টোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্স্টি কালজুলাইডের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকটি জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হয়।
মোমেন আরও জানান, বাংলাদেশ ও এস্টোনিয়া উভয় দেশের আইসিটি খাতের সহযোগিতা শক্তিশালী করতে আলোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট কার্স্টি বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের অগ্রগতি তুলে ধরেন। দুই রাষ্ট্র নেতার বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ও উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমার সঙ্গে বৈঠক করেন। ম্যাক্মিমা জাতিসংঘের আর্থিক বিষয়ের বিশেষ দূত।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, রানি ম্যাক্সিমা ও প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন নেদারল্যান্ডসের রানি।