X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

রাখাইনের হিন্দু গণকবরে ২৮ মরদেহ: নেপথ্যে কারা?

বিদেশ ডেস্ক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৫২আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:০৪
image

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে এক হিন্দু গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, ওই গণকবরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ২৮ টি মরদেহ পাওয়া গেছে। সেনাবাহিনী এই ঘটনায় আরাকান আর্মিকে (এআরএসএ) দায়ী করছে। তবে সংগঠনটি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে বলছে, এটি মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের ‘মিথ্যাচার’। এদিকে রাখাইনে সাংবাদিক প্রবেশে বাধানিষেধ থাকায় কোনও সংবাদমাধ্যমের পক্ষে স্বাধীনভাবে এর যাচাইবাছাই করা যায়নি। হিন্দু গণকবরের সন্ধান দাবি

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের একটি গ্রাম থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি গণকবর খুঁড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মোট ২৮টি মরদেহ বের করে এনেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গণকবরে ২৮ হিন্দু গ্রামবাসীর লাশ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে দেশটির সরকারি বাহিনীগুলো।

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জা হতায় এএফপিকে জানান, রবিবার পাওয়া এসব লাশের মধ্যে ২০টি নারীদের এবং বাকি আটটি পুরুষ ও শিশুদের। স্থানীয় এক পুলিশ কমকর্তাও এএফপিকে একই তথ্য দিয়েছেন। সরকারের তথ্য কমিটির সরবরাহকৃত ছবিতে দেখা যায়, গণকবরের পাশে মরদেহগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। তবে কোনও সংবাদমাধ্যমের পক্ষেই ছবিগুলো স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করা সম্ভব হয়নি।

মিয়ানমার সরকারের দাবি, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক শরণার্থী মিয়ানমারের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় গ্রাম ইয়ে বাও কিয়ার কাছে তল্লাশি চালানো হয়। সে সময় ওই গণকবরের সন্ধান মেলে। মিয়ানমার সরকারের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ওই শরণার্থী তাদের জানিয়েছেন, এআরএসএ-র প্রায় ৩০০ জঙ্গি মিলে তাদের গ্রামে প্রবেশ করেছিল। হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ১০০ জনকে ধরে গ্রামের বাইরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে তারা। মিয়ানমার সরকারের এই দাবিটিও কোনও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করতে সক্ষম হয়নি।

ইয়ে বাও কিয়া গ্রামে যেখানে মরদেহগুলো পাওয়া গেছে সেখানে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্পদ্রায়ের মানুষের বসবাস। সেই এলাকার নাম খা মং সেখ। গত সপ্তাহে এই এলাকার হিন্দুরাই এএফপিকে বলেছিল যে, এআরএসএ সদস্যরা ২৫ আগস্ট লাঠি ও ছুরি নিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং সামনে পড়া সবার ওপর আক্রমণ করতে থাকে। হিন্দু নারীদেরও অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছিল।

তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)। তাদের দাবি, তারা বেসামরিকদের ওপর কোনও হামলা চালায় না এবং কোনও হিন্দুকেও হত্যাও করেনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া একটি অডিওবার্তায় ওই মুখপাত্র দাবি করেন, বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা হিন্দু-মুসলিম বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। এজন্য তারা এআরএসএ সদস্যদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। তিনি বলেন, এআরএসএ অঙ্গীকারবদ্ধ যে কোনও অবস্থাতেই আমরা বেসামরিক ও সাধারণ মানুষদের লক্ষ্য করবো না।

/বিএ/
সম্পর্কিত
চীনে ৯ বছরে প্রথমবারের মতো বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে
পুতিনের জয়ে পশ্চিমাদের নিন্দা, শুভাকাঙ্ক্ষী কারা?
পুতিনের দেওয়া গাড়িতে চড়ে কিমের মহড়া পরিদর্শন
সর্বশেষ খবর
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৩
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৩
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা, শেখ ইনানকে হত্যার হুমকি
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা, শেখ ইনানকে হত্যার হুমকি
হলমার্কের এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হলমার্কের এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পদোন্নতি পেলেন বিএনপির তিন নেতা
পদোন্নতি পেলেন বিএনপির তিন নেতা
সর্বাধিক পঠিত
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
পদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
একীভূত হলো দুই ব্যাংকপদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই