ইরাক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে নিরঙ্কুশ সমর্থন আসার পর অভিযান চালিয়ে কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত শহর কিরকুক নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইরাকি বাহিনী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। তবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকার খবর দিয়েছে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এদিকে ওই দুই সংবাদমাধ্যমই সহিংসতা থেকে বাঁচতে হাজর হাজার কুর্দির কিরকুক থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণের তেলখনিগুলোসহ কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিরকুকের 'বড় অংশ' নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে ইরাকের সরকারি বাহিনী। তবে বিবিসি বলছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে তাদের চিত্রগ্রাহক বন্দুকযুদ্ধের শব্দ ধারণে সমর্থ হয়েছেন।
ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের কুর্দিরা বাগদাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত ২৫শে সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট করে। কিরকুক শহরটি কুর্দিস্তানের মধ্যে অবস্থিত না হলেও কুর্দিরা এ শহরটিকে তাদের প্রাণকেন্দ্র বলেই মনে করে এবং গণভোটে এ শহরের কুর্দিরাও অংশ নিয়েছিল। স্বাধীনতার পক্ষে বিপুল ভোট পড়ার পর থেকেই কুর্দিস্তানের সঙ্গে ইরাক সরকারের সংঘাত দানা বাঁধতে শুরু করে।
কুর্দি বাহিনীর হাত থেকে কিরকুকের পুনর্দখল করে নিতে এক অভিযান শুরু করার পর প্রায় বিনা বাধায় সরকারি বাহিনী শহরে প্রবেশ করে। অভিযান শুরুর একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইরাকি সশস্ত্র যানগুলো সরকারের দফতরগুলোর দখল নেয়।
স্থানীয় সরকারের সদরদফতরে ইরাকি পতাকা ওড়ার খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। স্থানীয়দের বরাতে তারা জানিয়েছে, অভিযান শুরুর একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে সোমবার বিকালে ইরাকি এলিট বাহিনীর সশস্ত্র যানের বহর প্রাদেশিক সরকারের সদরদফরগুলো দখল করে নেয়।
বাগদাদের সরকার বলছে পেশমার্গা কোনো ধরনের যুদ্ধ ছাড়াই এ অভিযান থেকে পিছু হটেছে। কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকার কিরকুকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা হাতছাড়া হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে।